আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ৫৭

তাফসীর
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِیۡنَ اتَّخَذُوۡا دِیۡنَکُمۡ ہُزُوًا وَّلَعِبًا مِّنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَالۡکُفَّارَ اَوۡلِیَآءَ ۚ وَاتَّقُوا اللّٰہَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ

উচ্চারণ

ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাত্তাখিযুল্লাযীনাত্তাখাযূদীনাকুম হুঝুওয়াওঁ ওয়া লা‘ইবাম মিনাল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা মিন কাবলিকুম ওয়াল কুফফা-রা আওলিয়াআ ওয়াত্তাকুল্লা-হা ইন কুনতুম মু‘মিনীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

হে মুমিনগণ! তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা তোমাদের দীনকে কৌতুক ও ক্রীড়ার বস্তু বানায়, তাদেরকে ও কাফেরদেরকে বন্ধু বানিয়ো না। তোমরা প্রকৃত মুমিন হলে আল্লাহকেই ভয় করো। ৫০

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫০. অর্থাৎ ইয়াহুদী-নাসারা-পৌত্তলিক প্রভৃতি অমুসলিমকে তোমরা যতই আপন মনে কর না কেন, প্রকৃতপক্ষে তারা কখনও তোমাদের আপন নয়। তারা তোমাদেরকে শত্রুই ভাবে এবং সেই মত আচরণই তারা তোমাদের সাথে করে। তারা তোমাদের ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা করে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানকে ব্যাঙ্গ করে। যারা সরাসরি তা করে না তারাও পরোক্ষভাবে তাতে মদদ যোগায় ও তাতে খুশী হয়। কাজেই যে ব্যক্তি নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করে, যার অন্তরে ঈমানী চেতনা ও আল্লাহর ভয় আছে সে তাদের সাথে দোস্তী করতে পারে না কিছুতেই। তবে হ্যাঁ, আগে থেকেই তাদের সাথে শত্রুতামূলক আচরণও কাম্য নয় এবং আচার-আচরণে মানবিকতাবোধ এবং ন্যায়-ইনসাফকে বিসর্জন দেওয়াও ইসলামের শিক্ষা নয়। সর্বাবস্থায় সতর্কতা অবলম্বন ও ইনসাফপূর্ণ ব্যবহারই বাঞ্ছনীয়। (-অনুবাদক)
﴾﴿
সূরা আল মায়িদাহ, আয়াত ৭২৬ | মুসলিম বাংলা