আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ২৯

তাফসীর
اِنِّیۡۤ اُرِیۡدُ اَنۡ تَبُوۡٓاَ بِاِثۡمِیۡ وَاِثۡمِکَ فَتَکُوۡنَ مِنۡ اَصۡحٰبِ النَّارِ ۚ  وَذٰلِکَ جَزٰٓؤُا الظّٰلِمِیۡنَ ۚ

উচ্চারণ

ইন্নী উরীদুআন তাবূআ বিইছমী ওয়া ইছমিকা ফাতাকূনা মিন আসহা-বিন্না-রি ওয়া যা-লিকা জাঝাউজ্জা-লিমীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আমি চাই, তুমি আমার ও তোমার উভয়ের পাপভার বহন কর ২৬ এবং জাহান্নামীদের মধ্যে গণ্য হও। আর এটাই জালিমদের শাস্তি।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২৬. যদিও আত্মরক্ষার কোনও উপায় পাওয়া না গেলে আক্রমণকারীকে হত্যা করা জায়েয, কিন্তু এ ক্ষেত্রে হাবীল পরহেজগারী তথা উচ্চতর নৈতিকতামূলক পন্থা অবলম্বন করলেন এবং নিজের সে অধিকার প্রয়োগ হতে বিরত থাকলেন। তিনি বোঝাচ্ছিলেন, আমি আত্মরক্ষার অন্য সব পন্থা অবলম্বন করব, কিন্তু তোমাকে হত্যা করতে কিছুতেই সচেষ্ট হব না। সেই সঙ্গে তাকে জানিয়ে দিলেন যে, তুমি যদি সত্যিই আমাকে হত্যা করে বস, তবে মজলুম হওয়ার কারণে আমার গুনাহসমূহ তো ক্ষমা করা হবে বলে আশা করতে পারি, কিন্তু তোমার উপর যে কেবল নিজের পাপের বোঝা চাপবে তাই নয়; বরং আমাকে হত্যা করার কারণে আমার কিছু পাপ-ভারও তোমার উপর চাপানো হতে পারে। কেননা আখিরাতে জালিমের পক্ষ হতে মজলুমের হক আদায়ের একটা পন্থা হাদীসে এরূপ বর্ণিত হয়েছে যে, জালিমের পুণ্য মজলুমকে দেওয়া হবে। তারপরও যদি হক বাকি থেকে যায়, তবে মজলুমের পাপ জালিমের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হবে (তাফসীরে কাবীর)।
﴾﴿
সূরা আল মায়িদাহ, আয়াত ৬৯৮ | মুসলিম বাংলা