আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ২১

তাফসীর
یٰقَوۡمِ ادۡخُلُوا الۡاَرۡضَ الۡمُقَدَّسَۃَ الَّتِیۡ کَتَبَ اللّٰہُ لَکُمۡ وَلَا تَرۡتَدُّوۡا عَلٰۤی اَدۡبَارِکُمۡ فَتَنۡقَلِبُوۡا خٰسِرِیۡنَ

উচ্চারণ

ইয়া-কাওমিদ খুলুলআরদাল মুকাদ্দাছাতাল্লাতী কাতাবাল্লা-হুলাকুমওয়ালা-তারতাদ্দু ‘আলাআদবা-রিকুম ফাতানকালিবূখা-ছিরীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ তোমাদের জন্য যেই পবিত্র ভূমি নির্দিষ্ট করেছেন, ২২ তাতে প্রবেশ কর এবং নিজেদের পশ্চাদ্দিকে ফিরে যেয়ো না; তা হলে তোমরা উল্টে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২২. ‘পবিত্র ভূমি’ দ্বারা শাম ও ফিলিস্তিন অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা নবী-রাসূল পাঠানোর জন্য এ ভূমিকে বেছে নিয়েছিলেন। তাই একে ‘পবিত্র ভূমি’ বলা হয়েছে। এ আয়াতে যে ঘটনার প্রতি ইশারা করা হয়েছে, সংক্ষেপে তা এইরূপ, বনী ইসরাঈলের মূল নিবাস ছিল শাম, বিশেষত ফিলিস্তিন। মিসরে ফির‘আউন তাদেরকে দাস বানিয়ে রেখেছিল। আল্লাহ তা‘আলার হুকুমে যখন ফির‘আউন ও তার বাহিনী ডুবে মরে, তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ফিলিস্তিনে গিয়ে বসবাস করতে আদেশ করেন। এ ফিলিস্তিনে আমালিকা নামক এক কাফির জনগোষ্ঠী বাস করত। সুতরাং সে আদেশের অনিবার্য দাবী ছিল বনী ইসরাঈল ফিলিস্তিনে গিয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তা‘আলার ওয়াদা ছিল, সে যুদ্ধে বনী ইসরাঈলই জয়লাভ করবে। কেননা সে ভূখণ্ডটিকে তাদেরই ভাগ্যে লিখে দেওয়া হয়েছে। হযরত মূসা আলাইহিস সালাম সে আদেশ পালনার্থে ফিলিস্তিন অভিমুখে রওয়ানা হলেন। ফিলিস্তিনের কাছাকাছি পৌঁছতেই বনী ইসরাঈল উপলব্ধি করল, আমালিকা গোষ্ঠীটি অতি শক্তিশালী। মূলত তারা ছিল আদ জাতির বংশধর। গায়ে-গতরে খুব বড়। বনী ইসরাঈল তাদের বিশাল-বিশাল দেহ দেখে ভয় পেয়ে গেল। তারা চিন্তা করল না যে, আল্লাহ তা‘আলার শক্তি আরও বড় এবং তিনি তাদের জয়লাভের ওয়াদাও করে রেখেছেন।
﴾﴿