وَقَالَتِ الۡیَہُوۡدُ وَالنَّصٰرٰی نَحۡنُ اَبۡنٰٓؤُا اللّٰہِ وَاَحِبَّآؤُہٗ ؕ قُلۡ فَلِمَ یُعَذِّبُکُمۡ بِذُنُوۡبِکُمۡ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ بَشَرٌ مِّمَّنۡ خَلَقَ ؕ یَغۡفِرُ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَیُعَذِّبُ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَلِلّٰہِ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَمَا بَیۡنَہُمَا ۫ وَاِلَیۡہِ الۡمَصِیۡرُ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
২১. ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানগণ নিজেরাও স্বীকার করত যে, তারা বিভিন্ন কারণে আল্লাহ তা‘আলার শাস্তির নিশানা হয়ে আছে। এমনকি আখেরাতেও যে তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে সেটাও তাদের অনেকে স্বীকার করত, হোক না তাদের ভাষায় তা অল্পকিছু কালের জন্য। সুতরাং এস্থলে বলা উদ্দেশ্য যে, আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত মানুষকে একই রকম বানিয়েছেন। তাদের মধ্যে বিশেষ কোনও জাতি সম্পর্কে এ দাবী করা যে, তারা আল্লাহর বিশেষ প্রিয়পাত্র এবং তারা তাঁর সাধারণ নিয়মের বাইরে, এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। আল্লাহ তা‘আলার বিধান সকলের জন্য সমান। তিনি নিজ রহমত বিতরণের জন্য বিশেষ কোনও গোষ্ঠীকে নির্দিষ্ট করে নেননি যে, তাদের বাইরে কেউ তা পাবে না। অবশ্য তিনি নিজ হিকমত অনুযায়ী যাকে চান ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা করেন নিজের ইনসাফ ভিত্তিক বিধান অনুসারে শাস্তি দান করেন।