আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ১৮

তাফসীর
وَقَالَتِ الۡیَہُوۡدُ وَالنَّصٰرٰی نَحۡنُ اَبۡنٰٓؤُا اللّٰہِ وَاَحِبَّآؤُہٗ ؕ قُلۡ فَلِمَ یُعَذِّبُکُمۡ بِذُنُوۡبِکُمۡ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ بَشَرٌ مِّمَّنۡ خَلَقَ ؕ یَغۡفِرُ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَیُعَذِّبُ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَلِلّٰہِ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَمَا بَیۡنَہُمَا ۫ وَاِلَیۡہِ الۡمَصِیۡرُ

উচ্চারণ

ওয়াকা-লাতিল ইয়াহুদুওয়ান নাসা-রা-নাহনুআবনাউল্লা-হি ওয়া আহিব্বাউহূ কুল ফালিমা ইউ‘আযযিবুকুম বিযুনূবিকুম বাল আনতুম বাশারূম মিম্মান খালাকা ইয়াগফিরু লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইউ‘আযযিবুমাইঁ ইয়াশূউ ওয়া লিলল্লা-হি মুলকুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা; ওয়া ইলাইহিল মাসীর।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানগণ বলে, আমরা আল্লাহর সন্তান ও তার প্রিয়পাত্র। (তাদেরকে) বলে দাও, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের পাপের কারণে শাস্তি দেন কেন? ২১ না, বরং তোমরা আল্লাহর সৃষ্ট অন্যান্য মানুষেরই মত মানুষ। তিনি যাকে চান ক্ষমা করেন এবং যাকে চান শাস্তি দেন। আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মাঝখানে যা-কিছু আছে, সে সমুদয়ের মালিকানা কেবল আল্লাহরই এবং তাঁরই দিকে (সকলের) প্রত্যাবর্তন।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২১. ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানগণ নিজেরাও স্বীকার করত যে, তারা বিভিন্ন কারণে আল্লাহ তা‘আলার শাস্তির নিশানা হয়ে আছে। এমনকি আখেরাতেও যে তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে সেটাও তাদের অনেকে স্বীকার করত, হোক না তাদের ভাষায় তা অল্পকিছু কালের জন্য। সুতরাং এস্থলে বলা উদ্দেশ্য যে, আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত মানুষকে একই রকম বানিয়েছেন। তাদের মধ্যে বিশেষ কোনও জাতি সম্পর্কে এ দাবী করা যে, তারা আল্লাহর বিশেষ প্রিয়পাত্র এবং তারা তাঁর সাধারণ নিয়মের বাইরে, এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। আল্লাহ তা‘আলার বিধান সকলের জন্য সমান। তিনি নিজ রহমত বিতরণের জন্য বিশেষ কোনও গোষ্ঠীকে নির্দিষ্ট করে নেননি যে, তাদের বাইরে কেউ তা পাবে না। অবশ্য তিনি নিজ হিকমত অনুযায়ী যাকে চান ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা করেন নিজের ইনসাফ ভিত্তিক বিধান অনুসারে শাস্তি দান করেন।
﴾﴿
সূরা আল মায়িদাহ, আয়াত ৬৮৭ | মুসলিম বাংলা