আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ১৩

তাফসীর
فَبِمَا نَقۡضِہِمۡ مِّیۡثَاقَہُمۡ لَعَنّٰہُمۡ وَجَعَلۡنَا قُلُوۡبَہُمۡ قٰسِیَۃً ۚ یُحَرِّفُوۡنَ الۡکَلِمَ عَنۡ مَّوَاضِعِہٖ ۙ وَنَسُوۡا حَظًّا مِّمَّا ذُکِّرُوۡا بِہٖ ۚ وَلَا تَزَالُ تَطَّلِعُ عَلٰی خَآئِنَۃٍ مِّنۡہُمۡ اِلَّا قَلِیۡلًا مِّنۡہُمۡ فَاعۡفُ عَنۡہُمۡ وَاصۡفَحۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَ

উচ্চারণ

ফাবিমা-নাকদিহিম মীছা-কাহুম লা‘আন্না-হুম ওয়াজা‘আলনা-কুলূবাহুম কা-ছিইয়াতান ইউহাররিফূনাল কালিমা ‘আম মাওয়া-দি‘ইহী ওয়া নাছূহাজ্জাম মিম্মা-যুক্কিরূবিহী ওয়ালা-তাঝা-লুতাত্তালি‘উ ‘আলা-খাইনাতিম মিনহুম ইল্লা-কালীলাম মিনহুম ফা‘ফু‘আনহুম ওয়াসফাহ ইন্নাল্লা-হা ইউহিব্বুল মুহছিনীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

অতঃপর তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণেই তো আমি তাদেরকে আমার রহমত থেকে বিতাড়িত করি ও তাদের অন্তর কঠিন করে দেই। তারা কথাসমূহকে তার আপন স্থান থেকে সরিয়ে দেয় ১৬ এবং তাদেরকে যে বিষয়ে উপদেশ দেওয়া হয়েছিল তার একটি বড় অংশ ভুলে যায়। (আগামীতে) তুমি তাদের অল্পসংখ্যক ব্যতীত সকলেরই কোনও না কোনও বিশ্বাসঘাতকতার কথা জানতে থাকবে। সুতরাং (এখন) তাদেরকে ক্ষমা কর ও তাদেরকে পাশ কাটিয়ে চল। ১৭ নিশ্চয়ই আল্লাহ ইহসানকারীদের ভালোবাসেন।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৬. অর্থাৎ তারা আল্লাহর কালাম তাওরাত গ্রন্থে শাব্দিক ও অর্থগত বিকৃতি সাধন করে। কোথাও এক শব্দের পরিবর্তে অন্য শব্দ এবং এক কথার স্থলে অন্য কথা লিখে দিত এবং কোথাও শব্দগত পরিবর্তন না করে আয়াতের অপব্যাখ্যা করত। বলা বাহুল্য, আল্লাহর কালামে পরিবর্তন অপেক্ষা বড় কোন অপরাধ হতে পারে না। বনী ইসরাঈল তথা ইয়াহুদী ও নাসারা উভয় সম্প্রদায় এ অপরাধে লিপ্ত হয়েছিল। -অনুবাদক
﴾﴿
সূরা আল মায়িদাহ, আয়াত ৬৮২ | মুসলিম বাংলা