یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ اِذۡ ہَمَّ قَوۡمٌ اَنۡ یَّبۡسُطُوۡۤا اِلَیۡکُمۡ اَیۡدِیَہُمۡ فَکَفَّ اَیۡدِیَہُمۡ عَنۡکُمۡ ۚ وَاتَّقُوا اللّٰہَ ؕ وَعَلَی اللّٰہِ فَلۡیَتَوَکَّلِ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৩. এর দ্বারা সেই সকল ঘটনার প্রতি ইশারা করা হয়েছে, যাতে কাফিরগণ মুসলিমদেরকে নির্মূল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা তাদের সেসব পরিকল্পনা সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। এরূপ ঘটনা বহু। মুফাসসিরগণ এ আয়াতের অধীনে সে রকম কিছু ঘটনা উল্লেখ করেছেন, যেমন মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় আছে, এক যুদ্ধকালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসফান নামক স্থানে সাহাবায়ে কিরামকে নিয়ে জোহরের সালাত আদায় করলেন। যখন মুশরিকগণ তা জানতে পারল, তাদের বড় আফসোস হল কেন তারা এই সুযোগ গ্রহণ করল না। তাহলে তো নামায অবস্থায় হামলা চালিয়ে তাদেরকে ধ্বংস করে ফেলা যেত। অতঃপর তারা ঠিক করল, আসরের নামায আদায়কালে তারা অতর্কিত আক্রমণ চালাবে। কিন্তু আসরের ওয়াক্ত হলে আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশে তিনি সালাতুল খাওফ আদায় করলেন, যাতে মুসলিমগণ দু’দলে বিভক্ত হয়ে নামায পড়ে থাকে। একদল শত্রুর মুকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকে (পূর্বে সূরা নিসার (৪ : ১০৪ নং আয়াতে এ নামাযের পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে)। সুতরাং মুশরিকদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায় (রূহুল মাআনী)। আরও ঘটনা জানতে হলে মাআরিফুল কুরআন দেখুন।