یَوۡمَ یَجۡمَعُ اللّٰہُ الرُّسُلَ فَیَقُوۡلُ مَاذَاۤ اُجِبۡتُمۡ ؕ قَالُوۡا لَا عِلۡمَ لَنَا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ عَلَّامُ الۡغُیُوۡبِ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৮৩. কুরআন মাজীদের এটা এক বিশেষ রীতি যে, সে যখন বিধি-বিধান বর্ণনা করে, তখন তার অনুসরণে উদ্বুদ্ধ ও আখেরাতের চিন্তা জাগ্রত করার লক্ষ্যে আখেরাতের কোনও বিষয়ও উল্লেখ করে দেয় কিংবা পূর্ববর্তী জাতিসমূহের আনুগত্য বা অবাধ্যতার বিষয়টা তুলে ধরে। সুতরাং এ স্থলেও ওসিয়ত সম্পর্কিত উল্লিখিত বিধানাবলী বর্ণনা করার পর এবার আখেরাতের কিছু দৃশ্য তুলে ধরা হচ্ছে। আর একটু আগেই যেহেতু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত আকীদা-বিশ্বাস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, তাই আখেরাতে খোদ ঈসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে আল্লাহ তা‘আলার যে কথোপকথন হবে বিশেষভাবে তা এস্থলে উল্লেখ করা হচ্ছে। প্রথম আয়াতে সমস্ত নবীকে লক্ষ্য করে আল্লাহ তা‘আলার একটি প্রশ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করবেন, তাদের উম্মতগণ তাদের দাওয়াতের কী জবাব দিয়েছিল? এর উত্তরে তারা যে নিজেদের অজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার অর্থ হল, আমরা দুনিয়ায় তো তাদের বাহ্য অবস্থার ভিত্তিতে ফায়সালা করতে আদিষ্ট ছিলাম। সুতরাং কেউ নিজের ঈমানের দাবী করলে আমরা তাকে মুমিন গণ্য করতাম। কিন্তু তাদের অন্তরে কী ছিল, তা জানার কোনও উপায় আমাদের ছিল না। আজ তো ফায়সালা হবে অন্তরের অবস্থা অনুযায়ী। কাজেই আজ আমরা কারও সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারব না। কেননা অন্তরের গুপ্ত অবস্থা সম্পর্কে কেবল আপনিই অবগত। অবশ্য নবীগণের থেকে যখন মানুষের বাহ্যিক কার্যকলাপ সম্পর্কে সাক্ষ্য চাওয়া হবে, তখন তারা সে সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করবেন, যা সূরা নিসা (৪ : ১৪), সূরা নাহল (১ ৬ : ৮৯) ইত্যাদিতে বর্ণিত হয়েছে।