مَا جَعَلَ اللّٰہُ مِنۡۢ بَحِیۡرَۃٍ وَّلَا سَآئِبَۃٍ وَّلَا وَصِیۡلَۃٍ وَّلَا حَامٍ ۙ وَّلٰکِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یَفۡتَرُوۡنَ عَلَی اللّٰہِ الۡکَذِبَ ؕ وَاَکۡثَرُہُمۡ لَا یَعۡقِلُوۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৭৮. এসব বিভিন্ন পশুর নাম, যা জাহিলী যুগের মুশরিকগণ স্থির করে নিয়েছিল। ‘বাহীরা’ বলত সেই পশুকে, কান চিড়ে যাকে দেব-দেবীর নামে উৎসর্গ করত। ‘সাইবা’ সেই পশু, যাকে দেব-দেবীর নামে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দিত। তারা এসব পশুকে কোনও রকমের কাজে লাগানো নাজায়েয মনে করত। ‘ওয়াসীলা’ বলা হত এমন উটনীকে, যা পর পর কয়েকটি মাদী বাচ্চা জন্ম দেয়, মাঝখানে কোনও নর বাচ্চা না জন্মায়। এমন উটনীকেও প্রতিমার নামে ছেড়ে দেওয়া হত। আর হামী হল সেই নর উট, যা নির্দিষ্ট একটা সংখ্যা পরিমাণ পাল দেওয়ার কাজ করেছে। এরূপ উটকেও প্রতিমার নামে ছেড়ে দেওয়া হত।