আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ১০৩

তাফসীর
مَا جَعَلَ اللّٰہُ مِنۡۢ بَحِیۡرَۃٍ وَّلَا سَآئِبَۃٍ وَّلَا وَصِیۡلَۃٍ وَّلَا حَامٍ ۙ وَّلٰکِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یَفۡتَرُوۡنَ عَلَی اللّٰہِ الۡکَذِبَ ؕ وَاَکۡثَرُہُمۡ لَا یَعۡقِلُوۡنَ

উচ্চারণ

মা-জা‘আলাল্লা-হু মিম বাহীরাতিওঁ ওয়ালা-ছায়িবাতিওঁ ওয়ালা-ওয়াসীলাতিওঁ ওয়ালাহা-মিওঁ ওয়ালা-কিন্নাল্লাযীনা কাফারূইয়াফতারূনা ‘আলাল্লা-হিল কাযিবা ওয়া আকছারুহুম লা-ইয়া‘কিলূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ কোনও প্রাণীকে না বাহীরা সাব্যস্ত করেছেন, না সাইবা, না ওয়াসীলা ও না হামী, ৭৮ কিন্তু যারা কুফর অবলম্বন করেছে, তারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে এবং তাদের অধিকাংশেই সঠিক বোঝে না।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৭৮. এসব বিভিন্ন পশুর নাম, যা জাহিলী যুগের মুশরিকগণ স্থির করে নিয়েছিল। ‘বাহীরা’ বলত সেই পশুকে, কান চিড়ে যাকে দেব-দেবীর নামে উৎসর্গ করত। ‘সাইবা’ সেই পশু, যাকে দেব-দেবীর নামে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দিত। তারা এসব পশুকে কোনও রকমের কাজে লাগানো নাজায়েয মনে করত। ‘ওয়াসীলা’ বলা হত এমন উটনীকে, যা পর পর কয়েকটি মাদী বাচ্চা জন্ম দেয়, মাঝখানে কোনও নর বাচ্চা না জন্মায়। এমন উটনীকেও প্রতিমার নামে ছেড়ে দেওয়া হত। আর হামী হল সেই নর উট, যা নির্দিষ্ট একটা সংখ্যা পরিমাণ পাল দেওয়ার কাজ করেছে। এরূপ উটকেও প্রতিমার নামে ছেড়ে দেওয়া হত।
﴾﴿
সূরা আল মায়িদাহ, আয়াত ৭৭২ | মুসলিম বাংলা