আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ১০১

তাফসীর
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَسۡـَٔلُوۡا عَنۡ اَشۡیَآءَ اِنۡ تُبۡدَ لَکُمۡ تَسُؤۡکُمۡ ۚ وَاِنۡ تَسۡـَٔلُوۡا عَنۡہَا حِیۡنَ یُنَزَّلُ الۡقُرۡاٰنُ تُبۡدَ لَکُمۡ ؕ عَفَا اللّٰہُ عَنۡہَا ؕ وَاللّٰہُ غَفُوۡرٌ حَلِیۡمٌ

উচ্চারণ

ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাছআলূ‘আন আশইয়াআ ইনতুবদালাকুম তাছু’কুম ওয়া ইন তাছআলূ‘আনহা-হীনা ইউনাঝঝালুল কুরআ-নুতুবদালাকুম ‘আফাল্লা-হু ‘আনহা- ওয়াল্লা-হু গাফূরুন হালীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

হে মুমিনগণ! তোমরা এমন সব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশ করা হলে তোমাদের কাছে অপ্রীতিকর মনে হবে। তোমরা যদি এমন সময়ে সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর, যখন কুরআন নাযিল হয়, তবে তা তোমাদের কাছে প্রকাশ করা হবে। ৭৬ (অবশ্য) আল্লাহ ইতঃপূর্বে যা হয়েছে তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৭৬. আয়াতের মর্ম এই যে, যেসব বিষয়ের বিশেষ কোনও প্রয়োজন নেই, প্রথমত তার অনুসন্ধানে লিপ্ত হওয়া একটা নিরর্থক কাজ। দ্বিতীয়ত আল্লাহ তা‘আলা অনেক সময় কোনও কোনও বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আদেশ দান করেন। সেই আদেশ অনুসারে মোটামুটিভাবে কাজ করলেই যথেষ্ট হয়ে যায়। সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু জানানোর দরকার হলে খোদ কুরআন মাজীদ তা জানিয়ে দিত কিংবা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করা হত। তা যখন করা হয়নি তখন এর চুলচেরা বিশ্লেষণের পেছনে পড়ার কোনও দরকার নেই। সেই সঙ্গে এটাও বলে দেওয়া হয়েছে যে, কুরআন নাযিলের সময় এ সম্পর্কে কোন কঠিন জবাব এসে গেলে তোমাদের নিজেদের পক্ষেই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এ আয়াতের শানে নুযুল সম্পর্কে একটা ঘটনা বর্ণিত আছে। তা এই যে, যখন হজ্জের বিধান আসল এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা মানুষকে জানিয়ে দিলেন, তখন এক সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! হজ্জ কি সারা জীবনে একবার ফরয না প্রতি বছর? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ প্রশ্নে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। কেননা কোন বিধান সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে বার বার পালনের স্পষ্ট নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তা একবার করার দ্বারাই হুকুম তামিল হয়ে যায়। এটাই নিয়ম (নামায, রোযা ও যাকাত সম্পর্কে সে রকমের নির্দেশনা রয়েছে)। সে অনুযায়ী এস্থলে প্রশ্নের কোনও দরকার ছিল না। সুতরাং তিনি সাহাবীকে বললেন, আমি যদি বলে দিতাম, হাঁ প্রতি বছর আদায় করা ফরয, তবে বাস্তবিকই তা সকলের উপর প্রতি বছর ফরয হয়ে যেত।
﴾﴿