شَرَعَ لَکُمۡ مِّنَ الدِّیۡنِ مَا وَصّٰی بِہٖ نُوۡحًا وَّالَّذِیۡۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ وَمَا وَصَّیۡنَا بِہٖۤ اِبۡرٰہِیۡمَ وَمُوۡسٰی وَعِیۡسٰۤی اَنۡ اَقِیۡمُوا الدِّیۡنَ وَلَا تَتَفَرَّقُوۡا فِیۡہِ ؕ کَبُرَ عَلَی الۡمُشۡرِکِیۡنَ مَا تَدۡعُوۡہُمۡ اِلَیۡہِ ؕ اَللّٰہُ یَجۡتَبِیۡۤ اِلَیۡہِ مَنۡ یَّشَآءُ وَیَہۡدِیۡۤ اِلَیۡہِ مَنۡ یُّنِیۡبُ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩. নবুওয়াতের ধারা হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু হলেও সর্বপ্রথম রাসূল ছিলেন হযরত নূহ আলাইহিস সালাম। প্রকৃতপক্ষে শরয়ী বিধি-বিধানের সিলসিলা তাঁর থেকেই শুরু হয়। আর নবুওয়াত ও রিসালাতের ধারা শেষ হয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে। হযরত ইবরাহীম, হযরত মূসা ও হযরত ঈসা আলাইহিমুস সালাম মাঝখানের বিখ্যাত নবী। এ আয়াতে জানানো হচ্ছে, সমস্ত নবী-রাসূলের মূল দীন ছিল একই। আকীদা-বিশ্বাস, ইবাদত-আখলাক ইত্যাদিতে মৌলিকভাবে একই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে সকল দীনে। পার্থক্য কেবল শাখাগত বিষয়ে, যা কালভেদে বিভিন্ন রকম হয়েছে (-অনুবাদক, তাফসীরে উসমানী অবলম্বনে)।