সাবা'

সূরা নং: ৩৪, আয়াত নং: ২১

তাফসীর
وَمَا کَانَ لَہٗ عَلَیۡہِمۡ مِّنۡ سُلۡطٰنٍ اِلَّا لِنَعۡلَمَ مَنۡ یُّؤۡمِنُ بِالۡاٰخِرَۃِ مِمَّنۡ ہُوَ مِنۡہَا فِیۡ شَکٍّ ؕ  وَرَبُّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ حَفِیۡظٌ ٪

উচ্চারণ

ওয়া মা-কা-না লাহূ‘আলাইহিম মিন ছুলতা-নিন ইল্লা-লিনা‘লামা মাইঁ ইউ’মিনুবিলআখিরাতি মিম্মান হুওয়া মিনহা-ফী শাক্কিওঁ ওয়া রাব্বুকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন হাফীজ।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তাঁদের উপর ইবলিসের কোন আধিপত্য ছিল না। তবে (মানুষকে বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা আমি তাকে এজন্য দিয়েছিলাম যে,) আমি দেখতে চাচ্ছিলাম কে আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে আর কে সে সম্বন্ধে থাকে সন্দেহে পতিত। ১৬ তোমার প্রতিপালক সকল বিষয়ের তত্ত্বাবধায়ক।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৬. অর্থাৎ আমি ইবলিসকে তো এমন কোন শক্তি দেইনি যে, সে মানুষের উপর আধিপত্য বিস্তার করে তাদেরকে নাফরমানীতে লিপ্ত হতে বাধ্য করবে। আমি তাকে কেবল প্ররোচনা দেওয়ার শক্তি দিয়েছিলাম। তাতে অন্তরে গুনাহ করার আগ্রহ সৃষ্টি হয় ঠিকই, কিন্তু কেউ গুনাহ করতে বাধ্য হয়ে যায় না। কেউ যদি নিজের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় এবং শরীয়তের উপর অবিচলিতথাকার সংকল্প করে নেয় তবে শয়তান তার কিছুই করতে পারে না। প্ররোচনা দেওয়ার শক্তিও তাকে এজন্য দেওয়া হয়েছে যে, এর দ্বারা আল্লাহ তাআলা মানুষকে পরীক্ষা করতে চান, কে আখেরাতের জীবনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে শয়তানের প্ররোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে আর কে দুনিয়াকে লক্ষবস্তু বানিয়ে শয়তানের কথা মেনে নেয়।
﴾﴿