اَلنَّبِیُّ اَوۡلٰی بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡ اَنۡفُسِہِمۡ وَاَزۡوَاجُہٗۤ اُمَّہٰتُہُمۡ ؕ وَاُولُوا الۡاَرۡحَامِ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلٰی بِبَعۡضٍ فِیۡ کِتٰبِ اللّٰہِ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَالۡمُہٰجِرِیۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ تَفۡعَلُوۡۤا اِلٰۤی اَوۡلِیٰٓئِکُمۡ مَّعۡرُوۡفًا ؕ کَانَ ذٰلِکَ فِی الۡکِتٰبِ مَسۡطُوۡرًا
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৭. এখানে আল্লাহ তাআলা এই বাস্তবতা তুলে ধরছেন যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদিও সমস্ত মুসলিমের কাছে তাদের নিজ প্রাণ অপেক্ষাও বেশি প্রিয় এবং তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণকে তারা নিজেদের মা’ গণ্য করে, কিন্তু তাই বলে মীরাছের ব্যাপারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর স্ত্রীগণ কোন মুসলিমের কাছে তার আত্মীয়বর্গের উপর অগ্রাধিকার রাখেন না। কাজেই কারও ইন্তিকাল হয়ে গেলে তার মীরাছ তার নিকটাত্মীয়দের মধ্যেই বণ্টন করা হয়ে থাকে; মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণকে তা থেকে কোন অংশ দেওয়া হয় না, অথচ দীনী দৃষ্টিকোণ থেকে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উম্মুল মুমিনীনগণের হক সমস্ত আত্মীয়-স্বজনের উপরে। তো যখন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উম্মুল মুমিনীনগণকে তাদের দীনী সম্পর্ক সত্ত্বেও কারও মীরাছে শরীক রাখা হয়নি, তখন পোষ্যপুত্রকে কেবল মুখে পুত্র বলে দেওয়ার অজুহাতে কী করে মীরাছে অংশীদার বানানো যেতে পারে? হাঁ, তাদের প্রতি যদি সৌজন্য প্রদর্শনের ইচ্ছা হয়, তবে নিজের রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের ভেতর তাদের পক্ষে অসিয়ত করার সুযোগ আছে।