কিতাবীদের মধ্যে যারা তাদেরকে (অর্থাৎ মুসলিমদের শত্রুদেরকে) সাহায্য করেছিল, আল্লাহ তাদেরকে তাদের দুর্গ থেকে অবতরণে বাধ্য করলেন ২২ এবং তাদের অন্তরে এমন ভীতি সঞ্চার করলেন যে, (হে মুসলিমগণ!) তাদের কতককে তো তোমরা হত্যা করছিলে আর কতককে করছিলে বন্দী।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
২২. এর দ্বারা বনু কুরাইজার প্রতি ইশারা করা হয়েছে। এটা ছিল ইয়াহুদীদের একটি গোত্র। এ গোত্রটি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিল। কিন্তু আহযাবের যুদ্ধকালে তারা চুক্তি ভঙ্গ করে হানাদারদের সাথে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল এবং তারা পিছন দিক থেকে মুসলিমদের উপর আঘাত হানার পরিকল্পনা করেছিল। সঙ্গত কারণেই আহযাবের যুদ্ধ শেষ হওয়া মাত্র মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার হুকুমে তাদের উপর আক্রমণ চালান। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা তাদের সুরক্ষিত দুর্গের ভেতর আশ্রয় নেয়। মুসলিমগণ দীর্ঘ এক মাস তাদেরকে অবরোধ করে রাখে। পরিশেষে তারা দুর্গ ত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং হযরত সাদ ইবনে মুআয (রাযি.) তাদের সম্পর্কে যে ফায়সালা দেবেন তা মেনে নেবে বলে সম্মতি জানায়। হযরত সাদ ইবনে মুআয (রাযি.) রায় দিলেন, তাদের মধ্যে যারা যুদ্ধক্ষম পুরুষ তাদেরকে হত্যা করা হোক এবং নারী ও শিশুদেরকে কয়েদী বানিয়ে রাখা হোক। সুতরাং এরূপই করা হল।