وَمِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّشۡتَرِیۡ لَہۡوَ الۡحَدِیۡثِ لِیُضِلَّ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ بِغَیۡرِ عِلۡمٍ ٭ۖ وَّیَتَّخِذَہَا ہُزُوًا ؕ اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ عَذَابٌ مُّہِیۡنٌ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১. কুরআন মাজীদের দুর্বার আকর্ষণের কারণে, তখনও যারা ঈমান আনেনি তারা পর্যন্ত লুকিয়ে লুকিয়ে তার তেলাওয়াত শুনত এবং এর ফলশ্রুতিতে অনেকে ইসলামও গ্রহণ করত। কাফেরগণ এ পরিস্থিতিকে নিজেদের পক্ষে বিপজ্জনক মনে করত। তাই তারা কুরআন মাজীদের বিপরীতে এমন কোন আকর্ষণীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাচ্ছিল, যাতে মানুষ কুরআন মাজীদ শোনা বন্ধ করে দেয়। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই মক্কা মুকাররমার ব্যবসায়ী নাযর ইবনে হারিছ, যে বাণিজ্য ব্যাপদেশে দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করত, ইরান থেকে সেখানকার রাজা-বাদশাহদের কাহিনী সম্বলিত বই-পুস্তক কিনে আনল। কোন কোন বর্ণনায় আছে, সে ইরান থেকে ভালো গাইতে জানে এমন একজন দাসীও কিনে এনেছিল। দেশে ফিরে এসে সে মানুষকে বলল, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমাদেরকে আদ ও ছামুদ জাতির কাহিনী শোনায়। আমি তোমাদেরকে আরও বেশি আকর্ষণীয় কাহিনী শোনাব এবং শোনাব চমৎকার গান। এতে কিছু সাড়া পাওয়া গেল। লোকজন তার আসরে উপস্থিত হতে শুরু করল। আয়াতের ইশারা এ ঘটনারই দিকে। এতে মূলনীতি বলে দেওয়া হয়েছে যে, মানুষের চিত্তবিনোদনের জন্য এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ জায়েয নয়, যা মানুষকে তাদের দীনী দায়িত্ব পালন থেকে গাফেল করে তোলে। খেলাধুলা ও বিনোদনমূলক কাজ কেবল এমনটাই জায়েয, যাতে দেহ-মনের কোন ব্যায়াম হয়, ক্লান্তি দূর হয়, যা দ্বারা কারও কোন ক্ষতি হয় না এবং যার ফলে মানুষ তার দীনী দায়িত্ব পালন থেকে উদাসীন হয়ে পড়ে না।