یٰبُنَیَّ اِنَّہَاۤ اِنۡ تَکُ مِثۡقَالَ حَبَّۃٍ مِّنۡ خَرۡدَلٍ فَتَکُنۡ فِیۡ صَخۡرَۃٍ اَوۡ فِی السَّمٰوٰتِ اَوۡ فِی الۡاَرۡضِ یَاۡتِ بِہَا اللّٰہُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَطِیۡفٌ خَبِیۡرٌ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১১. এর দ্বারা আল্লাহ তাআলার সর্বব্যাপী জ্ঞানের কথা বোঝানো হয়েছে। যারা আখেরাতকে অস্বীকার করত, তারা বলত, মৃত্যুর পর তো মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পচে-গলে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। সেই বিক্ষিপ্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কিভাবে একত্র করা সম্ভব হবে? হযরত লুকমান তাঁর পুত্রকে লক্ষ করে বলেন, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোন কণাও যদি আসমান-যমীনের কোন গুপ্ত স্থানে লুকানো থাকে, তবে সে সম্পর্কেও আল্লাহ তাআলা খবর রাখেন। তিনি তা সেখান থেকে বের করে আনতে সক্ষম। জ্ঞাতব্য যে, বুযুর্গানে দীনের কেউ কেউ বলেছেন, কারও কোন বস্তু হারিয়ে গেলে সে যদি এগার বার ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়ে, তারপর সূরা লুকমানের এ আয়াতটি তেলাওয়াত করতে থাকে, তবে আশা করা যায়, সে বস্তুটি পেয়ে যাবে। সাধারণত পাওয়া যেয়ে থাকে। এ বিষয়ে বান্দারও বেশ অভিজ্ঞতা আছে।