লুকমান

সূরা নং: ৩১, আয়াত নং: ১২

তাফসীর
وَلَقَدۡ اٰتَیۡنَا لُقۡمٰنَ الۡحِکۡمَۃَ اَنِ اشۡکُرۡ لِلّٰہِ ؕ وَمَنۡ یَّشۡکُرۡ فَاِنَّمَا یَشۡکُرُ لِنَفۡسِہٖ ۚ وَمَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ حَمِیۡدٌ

উচ্চারণ

ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-লুকমা-নাল হিকমাতা আনিশকুর লিল্লা-হি ওয়া মাইঁ ইয়াশকুর ফাইন্নামা-ইয়াশকুরু লিনাফছিহী ওয়ামান কাফারা ফাইন্নাল্লা-হা গানিইয়ুন হামীদ।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আমি লুকমানকে দান করেছিলাম জ্ঞানবত্তা (এবং তাকে বলেছিলাম) যে, আল্লাহর শোকর আদায় করতে থাক। যে-কেউ শোকর আদায় করে, সে তো কেবল নিজ কল্যাণার্থেই শোকর আদায় করে আর কেউ না-শোকরী করলে আল্লাহ তো অতি বেনিয়ায, প্রশংসাযোগ্য।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫. হযরত লুকমান সম্পর্কে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী মত এটাই যে, তিনি নবী ছিলেন না; বরং একজন জ্ঞানী লোক ছিলেন। তিনি কোন কালের কোন দেশের লোক ছিলেন, সে ব্যাপারে বর্ণনা বিভিন্ন রকম, যা দ্বারা চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ মুশকিল। কোন কোন বর্ণনায় আছে তিনি ইয়ামানের অধিবাসী ছিলেন এবং হযরত হুদ আলাইহিস সালামের যে সকল সঙ্গী শাস্তি থেকে রক্ষা পেয়েছিল, তিনিও তাদের একজন। কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন হাবশা (আবিসিনিয়া)-এর বাসিন্দা। কুরআন মাজীদ যে উদ্দেশ্যে হযরত লুকমানের বৃত্তান্ত বর্ণনা করেছে তার জন্য এসব খুঁটিনাটি বিষয় জানা অপরিহার্য নয়। এটা তো পরিষ্কার যে, আরববাসী তাঁকে একজন মহাজ্ঞানী রূপে জানত। তাঁর জ্ঞানগর্ভ বাণী তাদের মুখে মুখে চালু ছিল। প্রাক-ইসলামী যুগের কবি-সাহিত্যিকগণ ব্যাপকভাবে তার কথার উদ্ধৃতি দিয়েছেন। কাজেই আরববাসীর সামনে তাঁর বাণীসমূহকে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করার যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে।
﴾﴿