ہٰۤاَنۡتُمۡ ہٰۤؤُلَآءِ حَاجَجۡتُمۡ فِیۡمَا لَکُمۡ بِہٖ عِلۡمٌ فَلِمَ تُحَآجُّوۡنَ فِیۡمَا لَیۡسَ لَکُمۡ بِہٖ عِلۡمٌ ؕ وَاللّٰہُ یَعۡلَمُ وَاَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩৫. ইয়াহুদীরা বলত, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ইয়াহুদী ছিলেন এবং খ্রিস্টানগণ বলত, তিনি ছিলেন খ্রিস্টান। কুরআন মাজীদ প্রথমত বলছে, এ সম্প্রদায় দু’টোর অস্তিত্বই হয়েছে তাওরাত ও ইনজীল নাযিল হওয়ার পর, যার বহু আগেই ইবরাহীম আলাইহিস সালাম গত হয়েছিলেন। কাজেই তাঁকে ইয়াহুদী বা খ্রিস্টান বলাটা চরম নির্বুদ্ধিতা। অতঃপর কুরআন মাজীদ বলছে, তোমাদের যেসব দলীলের ভেতর কিছু না কিছু সত্যতা নিহিত ছিল তাই যখন তোমাদের দাবীসমূহ প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তখন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম সম্পর্কে এসব ভিত্তিহীন ও মূর্খতাসুলভ কথা কিভাবে তোমাদের দাবীকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে? উদাহরণত তোমরা জানতে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম বিনা বাপে জন্ম নিয়েছেন, আর এর ভিত্তিতে তোমরা তাঁর ঈশ্বর হওয়ার পক্ষে দলীল পেশ করেছ ও বিতর্কে লিপ্ত হয়েছ, কিন্তু তোমরা তাতে সফল হওনি। কেননা বিনা পিতায় জন্ম নেওয়াটা কারও ঈশ্বর হওয়ার প্রমাণ বহন করে না। হযরত আদম আলাইহিস সালাম তো পিতা ও মাতা নউভয় ছাড়াই পয়দা হয়েছিলেন। অথচ তোমরাও তাকে ঈশ্বর বা ঈশ্বরের পুত্র মনে কর না। এ অবস্থায় কেবল পিতা ছাড়া জন্ম নেওয়াটা কিভাবে ঈশ্বর হওয়ার প্রমাণ হতে পারে? তো তোমাদের যে প্রমাণের ভিত্তি সত্য ঘটনার উপর তাই যখন কোন কাজে আসেনি, তখন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম খ্রিস্টান বা ইয়াহুদী ছিলেন এই নিরেট মূর্খতাসুলভ কথা তোমাদের জন্য কী সুফল বয়ে আনতে পারে?