আ-লু ইমরান

সূরা নং: ৩, আয়াত নং: ৬

তাফসীর
ہُوَ الَّذِیۡ یُصَوِّرُکُمۡ فِی الۡاَرۡحَامِ کَیۡفَ یَشَآءُ ؕ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ

উচ্চারণ

হুওয়াল্লাযী ইউসাওবিরুকুম ফিল আরহা-মি কাইফা ইয়াশাউ লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়াল ‘আঝীঝুল হাকীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তিনিই সেই সত্তা, যিনি মায়ের পেটে যেভাবে ইচ্ছা তোমাদের আকৃতি দান করেন। তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। তিনি পরম পরাক্রান্ত এবং সমুচ্চ প্রজ্ঞারও অধিকারী।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২. মানুষ যদি তার সৃষ্টির পর্যায়ক্রমিক স্তরসমূহের প্রতি দৃষ্টিপাত করে ও চিন্তা করে যে, সে মাতৃগর্ভে কিভাবে প্রতিপালিত হয় এবং কিভাবে অপরাপর অগণ্য মানুষ থেকে তার আকৃতিকে এমন পৃথকভাবে তৈরি করা হয় যে, অন্য কারও সাথে সে শতভাগ মিলে যায় না, তবে এসব যে এক আল্লাহর কুদরত ও হিকমতের অধীনেই হচ্ছে, এটা মানতে তার এক মুহূর্ত দেরী হবে না। এ আয়াতে এই বাস্তবতাকে তুলে ধরার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব, তাঁর একত্ব ও হিকমতের প্রতি ইশারা করা উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে এর দ্বারা আরও একটি দিক স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রিওয়ায়াত দ্বারা জানা যায়, একবার নাজরান থেকে খ্রিস্টানদের একটি প্রতিনিধিদল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসেছিল এবং তারা তাঁর সঙ্গে নিজেদের আকীদা-বিশ্বাস সম্পর্কে কথা বলেছিল। সূরা আলে-ইমরানের কয়েকটি আয়াত সেই প্রেক্ষাপটেই নাযিল হয়েছে। প্রতিনিধিদলটির দাবী ছিল ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর পুত্র। এর সপক্ষে তাদের দলীল ছিল যে, তিনি পিতা ছাড়া জন্ম লাভ করেছিলেন। এ আয়াত তাদের সে দলীল খণ্ডন করছে। ইশারা করা হচ্ছে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিরই সৃজন ও আকৃতি দানের কাজ আল্লাহ তাআলাই করেন। যদিও তিনি এই নিয়ম চালু করে দিয়েছেন যে, প্রত্যেক শিশু পিতার মাধ্যমে জন্ম লাভ করে, কিন্তু তিনি এ নিয়মের অধীন ও মুখাপেক্ষী নন। সুতরাং যখন চান এবং যাকে চান, পিতা ছাড়া সৃষ্টি করেন ও করতে পারেন। কাজেই পিতা ছাড়া কারও জন্মগ্রহণ দ্বারা তার ঈশ্বর বা ঈশ্বর-পুত্র হওয়া প্রমাণ হয় না।
﴾﴿