আ-লু ইমরান

সূরা নং: ৩, আয়াত নং: ১৮৩

তাফসীর
اَلَّذِیۡنَ قَالُوۡۤا اِنَّ اللّٰہَ عَہِدَ اِلَیۡنَاۤ اَلَّا نُؤۡمِنَ لِرَسُوۡلٍ حَتّٰی یَاۡتِیَنَا بِقُرۡبَانٍ تَاۡکُلُہُ النَّارُ ؕ قُلۡ قَدۡ جَآءَکُمۡ رُسُلٌ مِّنۡ قَبۡلِیۡ بِالۡبَیِّنٰتِ وَبِالَّذِیۡ قُلۡتُمۡ فَلِمَ قَتَلۡتُمُوۡہُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ

উচ্চারণ

আল্লাযীনা কা-লূইন্নাল্লা-হা ‘আহিদা ইলাইনাআল্লা-নু’মিনা লিরাছূলিন হাত্তাইয়া’তিইয়ানা-বিকুরবা-নিন তা’কুলুহুন্না-রু কুল কাদ জাআকুম রুছুলুম মিন কাবলী বিলবাইয়িনা-তি ওয়াবিল্লাযী কুলতুম ফালিমা কাতালতুমূহুম ইন কুনতুম সা-দিকীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(এরা) সেই লোক, যারা বলে, আল্লাহ আমাদের প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন যে, আমরা কোনও নবীর প্রতি ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমান আনব না, যতক্ষণ না সে আমাদের কাছে এমন কোন কুরবানী উপস্থিত করবে, যাকে আগুন গ্রাস করবে। ৮১ তুমি বল, আমার আগেও তোমাদের নিকট বহু নবী সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল এবং সেই জিনিস নিয়েও, যার কথা তোমরা (আমাকে) বলছ। তা সত্ত্বেও তোমরা তাদেরকে হত্যা করলে কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৮১. পূর্ববর্তী নবীগণের সময়ে নিয়ম ছিল, কোনও ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি বিধানের লক্ষ্যে যখন কোনও পশু কুরবানী করত, তখন তাদের জন্য তা খাওয়া হালাল হত না; বরং তারা সে পশু যবাহ করে মাঠে বা টিলায় রেখে আসত। অতঃপর আল্লাহ তাআলা সে কুরবানী কবুল করলে আসমান থেকে আগুন এসে তা জ্বালিয়ে দিত। তাকে ‘দাহ্য কুরবানী’ বলা হত। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরীয়তে সে নিয়ম রহিত করে দেওয়া হয়েছে। এখন কুরবানীর গোশত হালাল। ইয়াহুদীরা বলেছিল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু এরূপ কুরবানী নিয়ে আসেননি, তাই আমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনতে পারি না। আসলে এটা ছিল তাদের কালক্ষেপণের এক বাহানা। ঈমান আনার কোন উদ্দেশ্য তাদের আদৌ ছিল না। তাই তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, অতীতে এসব নিদর্শন তো তোমাদের কাছে এসেছিল। তখনও তোমরা ঈমান আননি; বরং নবীগণকে হত্যা করেছিলে।
﴾﴿