আল আনকাবুত

সূরা নং: ২৯, আয়াত নং: ৬৭

তাফসীর
اَوَلَمۡ یَرَوۡا اَنَّا جَعَلۡنَا حَرَمًا اٰمِنًا وَّیُتَخَطَّفُ النَّاسُ مِنۡ حَوۡلِہِمۡ ؕ اَفَبِالۡبَاطِلِ یُؤۡمِنُوۡنَ وَبِنِعۡمَۃِ اللّٰہِ یَکۡفُرُوۡنَ

উচ্চারণ

আওয়া লাম ইয়ারাও আন্না-জা‘আলনা-হারামান আ-মিনাওঁ ওয়া ইউতাখাত্তাফুন্না-ছুমিন হাওলিহিম আফাবিলবা-তিলি ইউ’মিনূনা ওয়া বিনি‘মাতিল্লা-হি ইয়াকফুরূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তারা কি লক্ষ্য করেনি, আমি (তাদের নগরকে) এক নিরাপদ হরম বানিয়ে দিয়েছি, অথচ তাদের আশপাশের লোকদের উপর হয় অতর্কিত হামলা। ৪৪ তারপরও কি তারা অলীক বস্তুর প্রতি বিশ্বাস রাখছে ও আল্লাহর নি‘আমতের নাশোকরী করছে?

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৪৪. পূর্বের সূরা অর্থাৎ সূরা কাসাস (২৮ : ৫৭)-এ গত হয়েছে, মুশরিকগণ তাদের ঈমান না আনার পক্ষে অজুহাত খাড়া করত, যেই আরববাসী এখন আমাদেরকে ইজ্জত-সম্মান করে, ঈমান আনলে তারা আমাদের শত্রু হয়ে যাবে এবং আমাদেরকে আমাদের মাতৃভূমি থেকে বের করে দেবে। এ আয়াতে তাদের সে অজুহাতের জবাব দেওয়া হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলাই তো মক্কা মুকাররমাকে নিরাপদ হরম বানিয়েছেন। ফলে এখানে কেউ লুটতরাজ ও খুন-খারাবি করার সাহস পায় না, অথচ এর আশেপাশেই দিনে-দুপুরে ডাকাতি, দস্যুবৃত্তি চলে। সেখানে মানুষের জান-মালের কোন নিরাপত্তা নেই, যে নিরাপত্তা হরমের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে তোমরা পাচ্ছ। তো আল্লাহ তাআলার নাফরমানী করা সত্ত্বেও যখন তিনি এরূপ স্বস্তির জীবন দান করেছেন, তখন তাঁর আনুগত্য স্বীকারের পর কি তিনি তোমাদেরকে এ নি‘আমত থেকে বঞ্চিত করবেন? দ্বিতীয়ত এ আয়াতে এদিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে যে, মক্কা মুকাররমাকে নিরাপদ হরম কি কোন প্রতিমা বা দেব-দেবী বানিয়েছেন যে, তোমরা তাদের পূজা-অর্চনায় লিপ্ত রয়েছ? এ ভূখণ্ডকে এরূপ মর্যাদা তো আল্লাহ তাআলাই দান করেছেন, যা তোমরাও স্বীকার কর। সুতরাং চিন্তা করে দেখ, ইবাদত-বন্দেগীর উপযুক্ত আসলে কে?