اِنَّ فِرۡعَوۡنَ عَلَا فِی الۡاَرۡضِ وَجَعَلَ اَہۡلَہَا شِیَعًا یَّسۡتَضۡعِفُ طَآئِفَۃً مِّنۡہُمۡ یُذَبِّحُ اَبۡنَآءَہُمۡ وَیَسۡتَحۡیٖ نِسَآءَہُمۡ ؕ اِنَّہٗ کَانَ مِنَ الۡمُفۡسِدِیۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১. পূর্বে সূরা তোয়াহা (২০ : ৩৬)-এর টীকায় বলা হয়েছে, কোন এক জ্যোতিষী ফির‘আওনকে বলেছিল, বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তির হাতে আপনার রাজত্বের অবসান হবে। তাই সে ফরমান জারি করেছিল, এখন থেকে বনী ইসরাঈলে যত শিশু জন্ম নেবে তাদেরকে যেন হত্যা করা হয়। হযরত মূসা আলাইহিস সালাম যখন জন্মগ্রহণ করলেন তাঁর মা এই ভেবে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন যে, ফির‘আওনের গুপ্তচরেরা তো তাকেও হত্যা করে ফেলবে, তাদের হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করার উপায় কী? এহেন পরিস্থিতিতে আল্লাহ তাআলা তাঁর অন্তরে ইলহাম করলেন যে, শিশুটিকে একটি বাক্সের ভেতর রেখে নীল নদীতে ফেলে দাও। তিনি তাই করলেন। বাক্সটি ভাসতে ভাসতে ফির‘আওনের রাজপ্রাসাদের কাছে পৌঁছে গেল। রাজকর্মচারীগণ কৌতুহলবশে সেটি তুলে আনল। খুলে দেখল তার ভেতর একটি মানবশিশু। তারা শীঘ্র তাকে ফির‘আওনের কাছে নিয়ে গেল। তার পত্নী হযরত আছিয়া (আ.) শিশুটির মায়ায় পড়ে গেলেন। তিনি তাকে পুত্র হিসেবে লালন-পালন করার জন্য ফির‘আওনকে উদ্বুদ্ধ করলেন। সামনে ৬-৯ নং আয়াতে এ ঘটনাই বর্ণিত হয়েছে।