وَلَمَّا وَرَدَ مَآءَ مَدۡیَنَ وَجَدَ عَلَیۡہِ اُمَّۃً مِّنَ النَّاسِ یَسۡقُوۡنَ ۬۫ وَوَجَدَ مِنۡ دُوۡنِہِمُ امۡرَاَتَیۡنِ تَذُوۡدٰنِ ۚ قَالَ مَا خَطۡبُکُمَا ؕ قَالَتَا لَا نَسۡقِیۡ حَتّٰی یُصۡدِرَ الرِّعَآءُ ٜ وَاَبُوۡنَا شَیۡخٌ کَبِیۡرٌ
মুফতী তাকী উসমানী
যখন সে মাদইয়ানের কুয়ার কাছে পৌঁছল, সেখানে একদল মানুষকে দেখল, যারা তাদের পশুদেরকে পানি পান করাচ্ছে। আরও দেখল তাদের পেছনে দু’জন নারী, যারা তাদের পশুগুলোকে আগলিয়ে রাখছে। মূসা তাদেরকে বলল, তোমরা কী চাও? তারা বলল, আমরা আমাদের পশুগুলোকে ততক্ষণ পর্যন্ত পানি পান করাতে পারি না, যতক্ষণ না সমস্ত রাখাল তাদের পশুগুলোকে পানি পান করিয়ে চলে যায়। আমাদের পিতা অতি বৃদ্ধ। ১৪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৪. অর্থাৎ, আমাদের পিতা অতি বৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিজে পশুকে পানি পান করাতে আসতে পারেন না। আবার আমরা যেহেতু নারী, তাই পুরুষদের ভীড়ের মধ্যে ঢুকে পানি পান করাতে পারি না। তাই অপেক্ষা করছি কখন পুরুষ রাখালগণ চলে যাবে ও কুয়ার পাড় খালি হয়ে যাবে। তখন আমরা আমাদের পশুগুলোকে ওখানে নিয়ে পানি পান করাব। প্রকাশ থাকে যে, এই নারীদ্বয়ের পিতা ছিলেন বিখ্যাত নবী হযরত শুআইব আলাইহিস সালাম। মাদইয়ানবাসীদের হেদায়াতের জন্য আল্লাহ তাআলা তাঁকে নবী করে পাঠিয়েছিলেন। সূরা আরাফ, সূরা হুদ প্রভৃতি সূরায় তাঁর ঘটনা বিস্তারিতভাবে বিবৃত হয়েছে।
এ ঘটনা দ্বারা জানা যায়, প্রয়োজনে নারীদের বাইরে গমন জায়েয। তবে পুরুষ যদি সে কাজ করে দিতে পারে তবে ভিন্ন কথা। তখন পুরুষদেরই সেটা করা উচিত। এ কারণেই হযরত শুআইব আলাইহিস সালামের কন্যাদ্বয় তাদের বাইরে আসার কারণ বলেছেন যে, আমাদের পিতা অত্যন্ত বুড়ো মানুষ। তাছাড়া ঘরে অন্য কোন পুরুষও নেই। এজন্যই এ কাজে আমাদের আসতে হয়েছে। এর দ্বারা আরও জানা গেল, নারীদের সাথে কথা বলা জায়েয, বিশেষত তাদেরকে কোন সঙ্কটের সম্মুখীন দেখলে তখন তাদের সাহায্যার্থে অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া এবং যথাসম্ভব তাদের সাহায্য করা অবশ্য কর্তব্য। তবে কোন ফেতনা তথা চরিত্রগত কোন ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে সতর্কতা অবলম্বনও জরুরি।