اَلَمۡ یَرَوۡا اَنَّا جَعَلۡنَا الَّیۡلَ لِیَسۡکُنُوۡا فِیۡہِ وَالنَّہَارَ مُبۡصِرًا ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৪৪. অর্থাৎ রাত-দিনের পরিবর্তনের মধ্যে চিন্তা করলে তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাত সম্পর্কে শিক্ষালাভ হয়। কেননা একই নিয়মের অধীনে যেভাবে রাত-দিনের নিরবচ্ছিন্ন পালাবদল হচ্ছে তা এক লা-শারীক সর্বশক্তিমান সত্তার ইচ্ছা ছাড়া সম্ভব নয়। এরূপ একাধিক সত্তা থাকলে এ শৃঙ্খলায় ভাঙ্গন অনিবার্য হয়ে যেত। এটা তাওহীদের প্রমাণ রিসালাতের শিক্ষালাভ হয় এভাবে যে, যেই আল্লাহ অন্ধকার রাতের পর দিনের আলো দিয়ে মানুষের দৈহিক ও বাহ্যিক প্রতিপালনের ব্যবস্থা করেছেন, তিনি তাদের আত্মিক ও অভ্যন্তরীণ পালন-পরিচর্যার জন্য হিদায়াতের আলো দান করবেন না এটা কি করে সম্ভব। বস্তুত সেই আলো বিতরণের জন্যই নবী-রাসূল প্রেরণের ধারা চালু করেছেন যার সর্বশেষ জ্যোতিষ্ক হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আর আখিরাতের শিক্ষালাভ এভাবে হয় যে, রাতের বেলা মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম মৃত্যুসদৃশ একটা অবস্থা। দিনের আলো ফুটলে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ঘুমের সাময়িক মৃত্যু থেকে জীবিত করে তোলেন। ঠিক এভাবেই তিনি আয়ু শেষের আসল মৃত্যু থেকেও মানুষকে একদিন পুনর্জীবিত করবেন। সেটাই আখিরাত। মোটকথা চিন্তাভাবনা করলে বিশ্ববাসীগণ এর থেকে দীন ও ঈমানের বহু শিক্ষা লাভ করতে পারে (-অনুবাদক, তাফসীরে উছমানী অবলম্বনে)।