আন নাম্‌ল

সূরা নং: ২৭, আয়াত নং: ৪৪

তাফসীর
قِیۡلَ لَہَا ادۡخُلِی الصَّرۡحَ ۚ  فَلَمَّا رَاَتۡہُ حَسِبَتۡہُ لُجَّۃً وَّکَشَفَتۡ عَنۡ سَاقَیۡہَا ؕ  قَالَ اِنَّہٗ صَرۡحٌ مُّمَرَّدٌ مِّنۡ قَوَارِیۡرَ ۬ؕ  قَالَتۡ رَبِّ اِنِّیۡ ظَلَمۡتُ نَفۡسِیۡ وَاَسۡلَمۡتُ مَعَ سُلَیۡمٰنَ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ٪

উচ্চারণ

কীলা লাহাদ খুলিসসারহা ফালাম্মা-রাআতহু হাছিবাতহু লুজ্জাতাওঁ ওয়া কাশাফাত ‘আন ছা-কাইহা- কা-লা ইন্নাহূছারহুম মুমার রাদুম মিন কাওয়ারীরা কা-লাত রাব্বি ইন্নী জালামতুনাফছী ওয়া আছলামতুমা‘আ ছুলাইমা-না লিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তাকে বলা হল, এই মহলে প্রবেশ কর। ২৪ যখন সে তা দেখল, তাকে জলাশয় মনে করল। তাই সে (কাপড় উঁচিয়ে) নিজ গোছা খুলে ফেলল। সুলাইমান বলল, এটা তো স্বচ্ছ শিশার ঢালাইকৃত মহল। রাণী বলল, হে আমার প্রতিপালক! বস্তুত (এ পর্যন্ত) আমি আমার নিজের প্রতি জুলুম করেছি। এক্ষণে আমি সুলাইমানের সাথে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আনুগত্য স্বীকার করে নিলাম। ২৫

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২৪. হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম দুনিয়া-প্রেমী লোকদের উপর প্রভাব বিস্তার করার লক্ষ্যে এক জমকালো শিশমহল নির্মাণ করেছিলেন। তার সামনের চত্বরে ছিল একটি জলাশয়। যার উপরে স্বচ্ছ শিশার ছাদ ঢালাই করে দিয়েছিলেন। গভীরভাবে লক্ষ্য না করলে শিশার ছাদটি চোখে পড়ত না। সরাসরি পানির উপরই নজর পড়ত এবং মনে হত সেটি একটি উন্মুক্ত জলাশয়। মহলে প্রবেশ করতে হত সেই জলাশয়ের উপর দিয়েই। সুতরাং বিলকীস যখন তাতে প্রবেশ করার জন্য এগিয়ে চললেন, সামনে সেই জলাশয়টি পড়ল। সেটি যেহেতু গভীর ছিল না, তাই তিনি এগিয়ে যেতেই থাকলেন আর যাতে পরিধানের কাপড় ভিজে না যায়, তাই তা একটু উঁচিয়ে ধরলেন। তাতে তার পায়ের নলা ক্ষাণিকটা খুলে গেল। তখন হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তাঁকে বললেন, কাপড় উঁচানোর দরকার নেই। জলাশয়ের উপরে শিশাঢালা ছাদ রয়েছে। উপর দিয়ে গেলে ভেজার কোন আশঙ্কা নেই।