قَالَ الَّذِیۡ عِنۡدَہٗ عِلۡمٌ مِّنَ الۡکِتٰبِ اَنَا اٰتِیۡکَ بِہٖ قَبۡلَ اَنۡ یَّرۡتَدَّ اِلَیۡکَ طَرۡفُکَ ؕ فَلَمَّا رَاٰہُ مُسۡتَقِرًّا عِنۡدَہٗ قَالَ ہٰذَا مِنۡ فَضۡلِ رَبِّیۡ ۟ۖ لِیَبۡلُوَنِیۡۤ ءَاَشۡکُرُ اَمۡ اَکۡفُرُ ؕ وَمَنۡ شَکَرَ فَاِنَّمَا یَشۡکُرُ لِنَفۡسِہٖ ۚ وَمَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ رَبِّیۡ غَنِیٌّ کَرِیۡمٌ
মুফতী তাকী উসমানী
যার কাছে ছিল কিতাবের ইলম, সে বলল, আমি আপনার চোখের পলক ফেলার আগেই তা আপনার সামনে এনে দেব। ১৯ অনন্তর সুলাইমান যখন সিংহাসনটি নিজের সামনে রাখা অবস্থায় দেখল, তখন বলে উঠল, এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। তিনি আমাকে পরীক্ষা করতে চান যে, আমি কৃতজ্ঞতা আদায় করি, না অকৃতজ্ঞতা করি? যে-কেউ কৃতজ্ঞতা আদায় করে, সে তো কৃতজ্ঞতা আদায় করে নিজেরই উপকারার্থে। আর কেউ অকৃতজ্ঞতা করলে আমার প্রতিপালক তো ঐশ্বর্যশালী, মহানুভব।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৯. ‘যার কাছে ছিল কিতাবের ইলম’, কে ছিল এই ব্যক্তি? কুরআন মাজীদ এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেনি। এটাই বেশি প্রকাশ যে, কিতাবের ইলম দ্বারা তাওরাতের ইলম বোঝানো হয়েছে। কোন কোন মুফাসসিরের মতে, ইনি ছিলেন হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালামের মন্ত্রী আসাফ ইবনে বারখিয়া। তাঁর ‘ইসমে আযম’ জানা ছিল আর সেই শক্তিতেই দাবি করেছিলেন, চোখের পলকের ভেতর তিনি সিংহাসনটি এনে দিতে পারবেন। অপর দিকে ইমাম রাযী (রহ.)-সহ অনেকে এই মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন যে, ইনি ছিলেন খোদ হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম। কেননা কিতাবের ইলম তাঁর যেমনটা ছিল সে পরিমাণ তখন আর কারওই ছিল না। প্রথমে তিনি দরবারী লোকজন বিশেষত জিন্নদেরকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, এমন কে আছে, যে বিলকীস এসে পৌঁছার আগেই তাঁর সিংহাসনটি আমার কাছে এনে দিতে পারবে? বস্তুত এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল জিন্নদের দর্প চূর্ণ করা। সুতরাং যখন একজন জিন্ন দর্পভরে বলে উঠল, আমি আপনার দরবার শেষ হওয়ার আগেই সেটি এনে দেব, তখন তার কথার পিঠে হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম নিজেই বললেন, তুমি তো দরবার শেষ হওয়ার কথা বলছ। আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় আমি মুজিযাস্বরূপ সেটি তোমার চোখের পলকের ভেতর এখানে নিয়ে আসব। খুব সম্ভব এই বলে তিনি আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করলেন এবং আল্লাহ তাআলা সেই মুহূর্তে বিলকীসের সিংহাসনটি সেখানে আনিয়ে দিলেন।