اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَذَکَرُوا اللّٰہَ کَثِیۡرًا وَّانۡتَصَرُوۡا مِنۡۢ بَعۡدِ مَا ظُلِمُوۡا ؕ وَسَیَعۡلَمُ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اَیَّ مُنۡقَلَبٍ یَّنۡقَلِبُوۡنَ ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৬৭. এই ব্যতিক্রমের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, কাব্য চর্চা যদি উপরে বর্ণিত দোষ থেকে মুক্ত থাকে, তাতে থাকে ঈমানের ঝলক ও ‘আমলে সালেহ’-এর ব্যঞ্জনা আর কবি তার কাব্য প্রতিভাকে দীন ও ঈমানের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করে, তার কবি-কল্পনা বেদীনী কার্যকলাপে ইন্ধন না যোগায়, তবে এমন কাব্যচর্চায় দোষ নেই।
জুলুমের প্রতিশোধ গ্রহণের বিষয়টাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এ কারণে যে, সেকালে প্রচারণার সর্বাপেক্ষা কার্যকর মাধ্যম ছিল কবিতা। কোন কবি কারও বিরুদ্ধে একটা ব্যঙ্গ কবিতা রচনা করে দিত আর অমনি তা মানুষের মুখে মুখে রটে যেত। এমনটাই করেছিল কোন কোন দুর্মুখ কাফের কবি। তারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে এ জাতীয় কিছু কবিতা চালিয়ে দিয়েছিল। হযরত হাসসান ইবনে সাবিত (রাযি.) ও হযরত আবদুল্লাহু ইবনে রাওয়াহা (রাযি.) প্রমুখ সাহাবী কবি তার জবাব দেওয়াকে নিজেদের ঈমানী দায়িত্ব মনে করলেন। সুতরাং তারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে কাসীদা রচনায় লেগে পড়লেন। তাঁরা তার মাধ্যমে যেমন কাফেরদের ব্যঙ্গ ও আপত্তির দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছিলেন, তেমনি কাফেরগণ আসলে কী বস্তু সেটাও উন্মোচিত করে দিয়েছিলেন। তাদের সে কবিতাগুলো শত্রুর বিরুদ্ধে তীরের চেয়েও বেশি কার্যকর হয়েছিল। এ আয়াতে তাঁদের সে কবিত্বের সমর্থন করা হয়েছে।