আল ফুরকান

সূরা নং: ২৫, আয়াত নং: ৩৮

তাফসীর
وَّعَادًا وَّثَمُوۡدَا۠ وَاَصۡحٰبَ الرَّسِّ وَقُرُوۡنًۢا بَیۡنَ ذٰلِکَ کَثِیۡرًا

উচ্চারণ

ওয়া-‘আদাওঁ ওয়া ছামূদা ওয়া আসহা-বার রাছছি ওয়া কুরূনাম বাইনা যা-লিকা কাছীরা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

এভাবেই আমি আদ, ছামুদ ও আসহাবুর রাসস্ ২০ এবং তাদের মাঝখানে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২০. সূরা আরাফে (৭ : ৬৫-৮৪) আদ ও ছামুদ জাতির বৃত্তান্ত চলে গেছে। ‘আসহাবুর রাস্স’-এর শাব্দিক অর্থ ‘কুয়াওয়ালাগণ’। অনুমান করা যায়, তারা কোন কুয়ার আশেপাশে বাস করত। কুরআন মাজীদে তাদের সম্পর্কে কেবল এতটুকুই বলা হয়েছে যে, নাফরমানীর কারণে তাদেরকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল। এর বেশি তাদের বিস্তারিত বৃত্তান্ত না কুরআন মাজীদে বর্ণিত হয়েছে, না সহীহ হাদীসে। ইতিহাসের বর্ণনায় তাদের বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়, কিন্তু তা এতটা নির্ভরযোগ্য নয়, যার উপর ভিত্তি করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়। তবে এতটুকু বিষয় স্পষ্ট যে, তাদের কাছে কোন একজন নবীকে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তারা সে নবীর কথায় কর্ণপাত করেনি; বরং উপর্যুপরি তাঁর অবাধ্যতা ও তাঁর সঙ্গে শত্রুতা করেছে। পরিণামে তাদেরকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। কোন কোন বর্ণনায় আছে, তারা তাদের নবীকে একটি কুয়ার ভেতর ঝুলিয়ে ফাঁসি দিয়েছিল আর সে কারণেই তাদের নাম পড়ে গেছে আসহাবুর রাস্স বা কুয়াওয়ালা।
সূরা আল ফুরকান, আয়াত ২৮৯৩ | মুসলিম বাংলা