আল ফুরকান

সূরা নং: ২৫, আয়াত নং: ২৯

তাফসীর
لَقَدۡ اَضَلَّنِیۡ عَنِ الذِّکۡرِ بَعۡدَ اِذۡ جَآءَنِیۡ ؕ وَکَانَ الشَّیۡطٰنُ لِلۡاِنۡسَانِ خَذُوۡلًا

উচ্চারণ

লাকাদ আদাল্লানী ‘আনিযযিকরি বা‘দা ইযজাআনী ওয়া কা-নাশশাইতা-নু লিলইনছা-নি খাযূলা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আমার কাছে তো উপদেশ এসে গিয়েছিল, কিন্তু সে (ওই বন্ধু) আমাকে তা থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। ১৪ আর শয়তান তো (এমনই চরিত্রের যে, সময়কালে সে) মানুষকে অসহায় অবস্থায় ফেলে চলে যায়। ১৫

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৪. অসৎ সঙ্গের পরিণতি যে কি ভয়ঙ্কর এ আয়াত সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। দুনিয়ায় অনেকেরই অবস্থা এমন, যাদের কাছে দীনের দাওয়াত পৌঁছে এবং তার মন-মস্তিষ্ক তা কবুলও করে, কিন্তু সঙ্গী-সাথী ভালো ও দীনদার না হওয়ার কারণে সে বাস্তব জীবনে তা প্রতিফলিত করতে পারে না। ফলে তার জীবন ও মরণ হয় তাদেরই একজন হিসেবে। চৈতন্য হবে কিয়ামতে। কিন্তু সেই চৈতন্য তো কোন কাজে আসবে না। তখন আক্ষেপে আঙ্গুল কামড়াবে আর বলবে আহা! আমি যদি ওদেরকে বন্ধু না বানাতাম! ওদের সাথে চলাফেরা করেই তো আমি বিপথগামী হয়েছি। আজকের এ করুণ পরিণতি তো সে কারণেই! বস্তুত সঙ্গদোষকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তাই কুরআন মাজীদের বিভিন্ন স্থানে সৎসঙ্গ গ্রহণের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাদীসেও সৎ ও অসৎ সঙ্গের লাভ-ক্ষতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। -অনুবাদক
সূরা আল ফুরকান, আয়াত ২৮৮৪ | মুসলিম বাংলা