قَالُوۡا سُبۡحٰنَکَ مَا کَانَ یَنۡۢبَغِیۡ لَنَاۤ اَنۡ نَّتَّخِذَ مِنۡ دُوۡنِکَ مِنۡ اَوۡلِیَآءَ وَلٰکِنۡ مَّتَّعۡتَہُمۡ وَاٰبَآءَہُمۡ حَتّٰی نَسُوا الذِّکۡرَ ۚ وَکَانُوۡا قَوۡمًۢا بُوۡرًا
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৭. তারা তাদের যে উপাস্যদেরকে প্রভুত্বের মর্যাদা দান করেছিল তারা ছিল বিভিন্ন প্রকার
ক.কতক ফেরেশতা, যাদেরকে তারা আল্লাহ তাআলার কন্যা বলে বিশ্বাস করত;
খ.কোন কোন নবী ও বুযুর্গ ব্যক্তিবর্গ। অনেকে তাদেরকে প্রভুত্বের আসনে বসিয়েছিল এবং তাদের পূজা-অর্চনায় লিপ্ত থাকত। এ দুই শ্রেণীর পক্ষ হতে তো এ উত্তর বোধগম্য যে, ‘আপনাকে ছেড়ে অন্য কাউকে অভিভাবক বানানোর সাধ্য আমাদের ছিল না,’ অর্থাৎ আমরা কি প্রভু হব, আপনিই তো আমাদেরসহ সকল সৃষ্টির প্রভু। ইবাদত তো কেবল আপনারই করা যায় এবং তাতে অন্য কাউকে শরীক করার কোন অবকাশ নেই।
গ.তাদের তৃতীয় প্রকারের উপাস্য হল প্রতিমা, যাদেরকে তারা নিজ হাতে মাটি বা পাথর দ্বারা তৈরি করত। এক্ষেত্রে প্রশ্ন হতে পারে, পাথরের প্রতিমার কি বাকশক্তি আছে যে, তারা এ রকম জবাব দেবে? এর দু’টি ব্যাখ্যা হতে পারে (ক) এখানে কেবল সেই সকল মুশরিকদের কথা বলা হয়েছে, যারা বিশেষ মানুষ বা ফেরেশতাকে প্রভুত্বের আসনে বসিয়ে তাদের প্রতীকরূপে প্রতিমাদের পূজা করত। (খ) এমনও হতে পারে যে, আল্লাহ তাআলা তখন মূর্তিদেরকে কথা বলার শক্তি দান করবেন। ফলে তাদের পক্ষে একথা বলা সম্ভব হবে।