لَا تَجۡعَلُوۡا دُعَآءَ الرَّسُوۡلِ بَیۡنَکُمۡ کَدُعَآءِ بَعۡضِکُمۡ بَعۡضًا ؕ قَدۡ یَعۡلَمُ اللّٰہُ الَّذِیۡنَ یَتَسَلَّلُوۡنَ مِنۡکُمۡ لِوَاذًا ۚ فَلۡیَحۡذَرِ الَّذِیۡنَ یُخَالِفُوۡنَ عَنۡ اَمۡرِہٖۤ اَنۡ تُصِیۡبَہُمۡ فِتۡنَۃٌ اَوۡ یُصِیۡبَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৫১. সমপর্যায়ের লোক যখন একে অন্যকে ডাকে তখন তার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কাজেই তাতে সাড়া দিয়ে না গেলে যেমন দোষ মনে করা হয় না, তেমনি যাওয়ার পর যদি অনুমতি ছাড়া চলে আসে তাও বিশেষ দূষণীয় হয় না। কিন্তু বড়দের ডাকের ব্যাপারটা ভিন্ন। তাদের ডাককে বিশেষ গুরুত্বের সাথে নেওয়াই নিয়ম। আর সে ডাক যদি হয় রাসূলের, তার গুরুত্ব হয় অপরিসীম। আয়াতে বলা হচ্ছে, যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে কোন কাজের জন্য ডাকেন, তখন তাকে তোমাদের আপসের ডাকের মত মামুলি গণ্য করো না যে, চাইলে সাড়া দিলে আর চাইলে দিলে না। বরং তাঁর ডাকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে সাড়া দিয়ে পত্রপাঠ ছুটে যাওয়া উচিত। আর যাওয়ার পরও যেন এমন না হয় যে, ইচ্ছা হল আর অনুমতি ছাড়া উঠে গেলে। যদি যাওয়ার বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তবেই যাবে।
এ আয়াতের এ রকম তরজমা করাও সম্ভব যে, ‘তোমরা রাসূলকে ডাকার বিষয়টিকে তোমাদের পরস্পরে একে অন্যকে ডাকার মত (মামুলি) গণ্য করো না’। এ হিসেবে ব্যাখ্যা হবে, তোমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লক্ষ্য করে যখন কোন কথা বলবে, তখন তোমরা নিজেরা একে অন্যকে যেমন ডাক দিয়ে থাক, যেমন হে অমুক! শোন, তাকেও সেভাবে ডাক দিও না। সুতরাং তাকে লক্ষ্য করে ‘হে মুহাম্মাদ!’ বলা কিছুতেই উচিত নয়। বরং তাঁকে সম্মানের সাথে ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ!’ বলে সম্বোধন করা চাই।