আন নূর

সূরা নং: ২৪, আয়াত নং: ৬

তাফসীর
وَالَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ اَزۡوَاجَہُمۡ وَلَمۡ یَکُنۡ لَّہُمۡ شُہَدَآءُ اِلَّاۤ اَنۡفُسُہُمۡ فَشَہَادَۃُ اَحَدِہِمۡ اَرۡبَعُ شَہٰدٰتٍۭ بِاللّٰہِ ۙ اِنَّہٗ لَمِنَ الصّٰدِقِیۡنَ

উচ্চারণ

ওয়াল্লাযীনা ইয়ারমূনা আঝওয়া-জাহুম ওয়ালাম ইয়াকুল লাহূম শুহাদাউ ইল্লাআনফুছুহুম ফাশাহা-দাতুআহাদিহিম আরবা‘উ শাহা-দা-তিম বিল্লা-হি ইন্নাহূলামিনাসসা-দিকীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

যারা নিজেদের স্ত্রীদেরকে অপবাদ দেয়, আর নিজেরা ছাড়া তাদের কোন সাক্ষী থাকে না, এরূপ কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য এই যে, সে চারবার আল্লাহর কসম করে বলবে, সে (স্ত্রীকে দেওয়া অভিযোগের ব্যাপারে) অবশ্যই সত্যবাদী।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৭. কোন স্বামী নিজ স্ত্রীকে ব্যভিচারের অপবাদ দিলে উপরে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী তাকেও চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে হবে। কিন্তু সে যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে নিয়ম অনুযায়ী যদিও আশি দোররার শাস্তি তার উপরও আরোপ হওয়ার কথা, কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর বিশেষ সম্পর্কের কারণে আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য এক বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছেন। পরিভাষায় তাকে ‘লিআন’ বলে। এখান থেকে ৯নং আয়াত পর্যন্ত সেই বিশেষ ব্যবস্থারই বিবরণ। তার সারমর্ম এই যে, কাযী (বিচারক) স্বামী-স্ত্রীর প্রত্যেককে পাঁচবার করে কসম করতে বলবে। তাদেরকে কসম করতে হবে কুরআন মাজীদে বর্ণিত পদ্ধতিতে এবং সেই শব্দাবলীতে। তার আগে কাযী তাদেরকে নসীহত করবে। তাদেরকে বলবে, দেখ, আখেরাতের আযাব দুনিয়ার শাস্তি অপেক্ষা অনেক কঠিন। কাজেই তোমরা মিথ্যা কসম করো না। তার চেয়ে বরং প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করে ফেল। স্ত্রী কসম না করে নিজ অপরাধ স্বীকার করলে তার উপর ব্যভিচারের ‘হদ্দ’ আরোপ করা হবে। আর যদি স্বামী কসম করার পরিবর্তে স্বীকার করে নেয় যে, সে স্ত্রীর প্রতি মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল, তবে তার উপর ‘হদ্দে কযফ’ আরোপিত হবে, যা ৪নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। যদি উভয়েই কসম করে, তবে দুনিয়ায় তাদের কারও উপর কোন শাস্তি জারি করা হবে না। অবশ্য কাযী তাদের মধ্যকার বিবাহ রহিত করে দেবে। অতঃপর সে নারীর কোন সন্তান জন্ম নিলে এবং স্বামী তাকে নিজ সন্তান বলে স্বীকার না করলে তাকে মায়ের সাথেই সম্পৃক্ত করা হবে (অর্থাৎ তার পিতৃ পরিচয় থাকবে না, মায়ের পরিচয়ে সে পরিচিত হবে)।
﴾﴿