قُلۡ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَاَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ ۚ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنَّمَا عَلَیۡہِ مَا حُمِّلَ وَعَلَیۡکُمۡ مَّا حُمِّلۡتُمۡ ؕ وَاِنۡ تُطِیۡعُوۡہُ تَہۡتَدُوۡا ؕ وَمَا عَلَی الرَّسُوۡلِ اِلَّا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৪৪. মক্কা মুকাররমায় সাহাবায়ে কেরামকে অশেষ জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল। হিজরত করে মদীনা মুনাওয়ারায় আসার পরও তারা স্বস্তি পাননি। কাফেরদের পক্ষ থেকে সব সময়ই হামলার আশঙ্কা ছিল। সেই পরিস্থিতিতে জনৈক সাহাবী জিজ্ঞেস করেছিলেন, এমন কোনও দিন কি আসবে, যখন আমরা অস্ত্র রেখে শান্তিতে সময় কাটাতে পারব? তার উত্তরে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, হাঁ, অচিরেই সে দিন আসছে। এ আয়াত সেই প্রেক্ষাপটেই নাযিল হয়েছে।
এতে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, আল্লাহর যমীনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের জন্য একদিন পরিবেশ সম্পূর্ণ অনুকূল হয়ে যাবে। তখন তাদের কোন ভয় থাকবে না। চারদিকে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। পৃথিবীর ক্ষমতা তখন তাদেরই হাতে থাকবে। তারা অপ্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির অধিকারী হয়ে যাবে। ফলে তারা নির্বিঘ্নে আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগী করতে থাকবে। আল্লাহ তাআলার এ ওয়াদা পূর্ণ হতে বেশি দিন লাগেনি। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায়ই সমগ্র জাযীরাতুল আরব ইসলামের ঝাণ্ডাতলে এসে গিয়েছিল। আর খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা অর্ধজাহানে বিস্তার লাভ করেছিল।