আন নূর

সূরা নং: ২৪, আয়াত নং: ৪৭

তাফসীর
وَیَقُوۡلُوۡنَ اٰمَنَّا بِاللّٰہِ وَبِالرَّسُوۡلِ وَاَطَعۡنَا ثُمَّ یَتَوَلّٰی فَرِیۡقٌ مِّنۡہُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ ؕ وَمَاۤ اُولٰٓئِکَ بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া ইয়াকূলূনা আ-মান্না-বিল্লা-হি ওয়া বিররাছূলি ওয়া আতা‘না-ছু ম্মা ইয়াতাওয়াল্লাফারীকুম মিনহুম মিম বা‘দি যা-লিকা ওয়ামাউলাইকা বিলমু’মিনীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তারা (অর্থাৎ মুনাফিকগণ) বলে, আমরা আল্লাহর প্রতি ও রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছি এবং আমরা অনুগত হয়েছি। অতঃপর তাদের একটি দল এরপরও মুখ ফিরিয়ে নেয়। (প্রকৃতপক্ষে) তারা মুমিন নয়। ৪১

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৪১. মুনাফিক শ্রেণী কেবল মুখেই ঈমানের দাবি করত, আন্তরিকভাবে তারা ঈমান আনত না। আর সে কারণেই তারা সর্বদা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক আচরণে লিপ্ত থাকত। যেমন একবারের ঘটনা, জনৈক ইয়াহুদীর সাথে বিশর নামক এক মুনাফিকের ঝগড়া লেগে যায়। ইয়াহুদী জানত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিচার সর্বদা ইনসাফভিত্তিক হয়। তাই সে বিশরকে প্রস্তাব দিল, চলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যাই, তিনি আমাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবেন। বিশর তো মুনাফিক। তার মনে ছিল ভয়। তাই সে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিচারক বানাতে রাজি হল না। সে প্রস্তাব দিল ইয়াহুদীদের নেতা কাব ইবনে আশরাফের কাছে যাওয়া যাক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়েছে (ইবনে জারীর তাবারী)।
﴾﴿