এবং আমি ঝড়ো হাওয়াকে সুলায়মানের বশীভূত করে দিয়েছিলাম, যা তার হুকুমে এমন ভূমির দিকে প্রবাহিত হত, যেখানে আমি বরকত রেখেছি। ৩৯ আমি প্রতিটি বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩৯. আল্লাহ তাআলা লোহার মত কঠিন পদার্থকেও হযরত দাঊদ আলাইহিস সালামের জন্য নমনীয় করে দিয়েছিলেন আর হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালামের অধীন করেছিলেন বায়ুর মত কোমল জিনিসকে। হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম সিংহাসনে আরোহন করে বাতাসকে হুকুম দিতেন অমুক জায়গায় নিয়ে যাও। বাতাস তার হুকুমমত তাঁকে যথাস্থানে পৌঁছে দিত। সূরা সাবায় আছে (৩৪ : ১২) তিনি ভোরের ভ্রমণে এক মাসের পথ এবং বিকেলের ভ্রমণেও এক মাসের পথ অতিক্রম করতেন। আয়াতে যে বরকতপূর্ণ ভূমির কথা বলা হয়েছে, তা হল শাম ও ফিলিস্তিন এলাকা। বোঝানো উদ্দেশ্য, তিনি সফর করে বহু দূর-দূরান্তে চলে গেলেও বাতাস তাকে দ্রুতগতিতে তার নিজের বরকতপূর্ণ ভূমি ফিলিস্তিনে ফিরিয়ে নিয়ে আসত।