وَدَاوٗدَ وَسُلَیۡمٰنَ اِذۡ یَحۡکُمٰنِ فِی الۡحَرۡثِ اِذۡ نَفَشَتۡ فِیۡہِ غَنَمُ الۡقَوۡمِ ۚ وَکُنَّا لِحُکۡمِہِمۡ شٰہِدِیۡنَ ٭ۙ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩৫. ঘটনাটি এ রকম, এক ব্যক্তির মেষপাল রাতের বেলা অপর এক ব্যক্তির শস্যক্ষেত্রে ঢুকে সবটা ফসল নষ্ট করে দিয়েছিল। ক্ষেতের মালিক হযরত দাঊদ আলাইহিস সালামের আদালতে মামলা দায়ের করল। তিনি রায় দিলেন, মেষপালের মালিক ভুল করেছে। তার উচিত ছিল রাতে সেগুলো বেঁধে রাখা। কিন্তু সে তা রাখেনি। ফলে ক্ষেতের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন দেখতে হবে তার কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। পশুর মালিক তার সমমূল্যের মেষ তাকে প্রদান করবে। অতি সুন্দর ফায়সালা। এটা বিলকুল শরীয়তসম্মত ছিল। কিন্তু এ ফায়সালা নিয়ে তারা যখন বের হয়ে গেল, দরজার সামনে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালামের সঙ্গে সাক্ষাত হল। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, মহান পিতা কী রায় দিয়েছেন? তারা তাঁকে রায় সম্পর্কে অবহিত করল। তিনি বললেন, আমার আরেকটি ফায়সালা বুঝে আসছে, যা উভয়ের পক্ষে কল্যাণকর হবে।
তাঁর এ মন্তব্য হযরত দাঊদ আলাইহিস সালামের কাছে পৌঁছলে তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন। জিজ্ঞেস করলেন, সে ফায়সালাটি কী? হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম বললেন, মেষপালের মালিক কিছু কালের জন্য তার মেষপালটি ক্ষেত-মালিকের হাতে সমর্পণ করবে। ক্ষেত-মালিক তা পালন করবে ও তার দুধ খাবে। আর সে তার শস্যক্ষেত্রটি মেষ মালিকের কাছে সমর্পণ করবে। সে তার যত্ন নিতে থাকবে। যখন ক্ষেতের ফসল পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে, অর্থাৎ মেষপাল নষ্ট করার আগে তা যে অবস্থায় ছিল, তখন মেষের মালিক ক্ষেতটিকে তার মালিকের হাতে প্রত্যার্পণ করবে এবং ক্ষেতওয়ালাও মেষপালটি তার মালিককে বুঝিয়ে দেবে। এটা ছিল এক রকমের আপোসরফা, যার ভেতর উভয়েরই উপকার ছিল। তাই হযরত দাঊদ আলাইহিস সালামের এটা পছন্দ হল এবং উভয় পক্ষ এতে খুশী হয়ে গেল।