قَالَ بَصُرۡتُ بِمَا لَمۡ یَبۡصُرُوۡا بِہٖ فَقَبَضۡتُ قَبۡضَۃً مِّنۡ اَثَرِ الرَّسُوۡلِ فَنَبَذۡتُہَا وَکَذٰلِکَ سَوَّلَتۡ لِیۡ نَفۡسِیۡ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৪৪. ‘রাসূলের পদচিহ্ন’ বলে হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালামের পদচিহ্ন বোঝানো হয়েছে। হযরত মূসা আলাইহিস সালামের কাফেলায় হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালামও ছিলেন। মুফাসসিরগণ সাধারণভাবে এ আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন যে, হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম মানব বেশে একটি ঘোড়ায় সওয়ার ছিলেন। সামেরী লক্ষ্য করেছিল, তাঁর ঘোড়ার পা যেখানেই পড়ে সেখানে জীবনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। সামেরী উপলব্ধি করল ঘোড়ার পা ফেলার স্থানে সঞ্জিবনী শক্তি আছে এবং এ শক্তিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। অর্থাৎ, নিষ্প্রাণ কোন বস্তুতে এ মাটি প্রয়োগ করলে তাতে জৈব বৈশিষ্ট্য সঞ্চার হতে পারে। সুতরাং সে একমুঠো মাটি নিয়ে বাছুরের মূর্তিতে ঢুকিয়ে দিল। ফলে তার থেকে হাম্বা-রব বের হতে লাগল। কিন্তু কোন কোন মুফাসসির, যেমন হযরত মাওলানা হক্কানী (রহ.) তাঁর ‘তাফসীরে হক্কানী’-তে (৩ খণ্ড, ২৭২-২৭৩) বলেন, সামেরীর এ বিবৃতি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসলে বাছুরের থেকে আওয়াজ বের হচ্ছিল বাতাস চলাচলের কারণে। কুরআন মাজীদ নিজে যেহেতু এ সম্পর্কে কোন ব্যাখ্যা প্রদান করেনি এবং সহীহ হাদীসেও এ সম্পর্কে কিছু পাওয়া যায় না আবার এটা জানার উপর দীনী জরুরী কোন বিষয়ও নির্ভরশীল নয়, তাই বাছুরটির রহস্য সন্ধানের পেছনে না পড়ে বিষয়টাকে আল্লাহ তাআলার উপর ন্যস্ত করাই শ্রেয় যে, তিনি ভালো জানেন সেটির কী রহস্য।