অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সেই সময়ের কথা চিন্তা কর, যখন তোমার বোন ঘর থেকে বের হয়ে চলছে তারপর (ফিরাউনের কর্মচারীদেরকে) বলছে, আমি কি তোমাদেরকে এমন কারো সন্ধান দেব, যে একে লালন-পালন করবে? ১৬ এভাবে আমি তোমাকে তোমার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলাম, যাতে তার চোখ জুড়ায় এবং সে চিন্তিত না থাকে। তুমি এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলেছিলে। ১৭ তারপর আমি তোমাকে সে সংকট থেকে উদ্ধার করি। আর আমি তোমাকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করি। ১৮ তারপর তুমি কয়েক বছর মাদয়ানবাসীদের মধ্যে অবস্থান করলে। তারপর হে মূসা! এমন এক সময় এখানে আসলে, যা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত ছিল।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ
১৬. ফির‘আউনের স্ত্রী তো শিশুটিকে লালন-পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল তার দুধ পান করানো নিয়ে। কত ধাত্রীই তালাশ করে আনা হল, কিন্তু হযরত মূসা আলাইহিস সালাম কোন ধাত্রীরই দুধ মুখে নিচ্ছিলেন না। হযরত আসিয়া এমন কোন মহিলাকে খুঁজে আনার জন্য দাসীদেরকে পাঠিয়ে দিলেন, যার দুধ তিনি গ্রহণ করতে পারেন। ওদিকে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের মা সন্তানকে নদীতে তো ফেলে দিলেন, কিন্তু এরপর কী হবে সেই চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়লেন। তিনি মূসা আলাইহিস সালামের বোনকে অনুসন্ধানের জন্য পাঠালেন। তিনি খুঁজতে খুঁজতে ফির‘আউনের রাজপ্রাসাদে গিয়ে পৌঁছলেন। সেখানে পৌঁছে দেখেন তারা শিশুটিকে দুধ পান করানো নিয়ে ঝামেলায় পড়ে গেছে। দাসীরা উপযুক্ত ধাত্রীর সন্ধানে ছোটাছুটি করছে। তিনি সুযোগ পেয়ে গেলেন এবং এ দায়িত্ব তার মায়ের উপর ন্যস্ত করার প্রস্তাব দিয়ে দিলেন। তারপর আর দেরি না করে মাকে সেখানে নিয়েও আসলেন। তিনি যখন দুধ পান করানোর ইচ্ছায় শিশুটিকে বুকে নিলেন অমনি সে মহানন্দে দুধ পান করতে লাগল। এভাবে আল্লাহ তাআলা নিজ ওয়াদা অনুযায়ী তাকে পুনরায় মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন।