অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা বলে, সে (অর্থাৎ নবী!) আমাদের কাছে তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে কোন নিদর্শন নিয়ে আসে না কেন? তবে কি তাদের কাছে পূর্ববর্তী (আসমানী) সহীফাসমূহে বর্ণিত বিষয়বস্তুর সাক্ষ্য আসেনি? ৬৭
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ
৬৭. এ আয়াতে بَيِّنَةٌ (সাক্ষ্য) দ্বারা কুরআন মাজীদ বোঝানো হয়েছে। ‘সহীফা’ হল পূর্ববর্তী আসমানী কিতাব। এ আয়াতের ব্যাখ্যা দু’ভাবে করা যায়। (এক) কুরআন এমন এক কিতাব, পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহে যার সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী দেওয়া হয়েছিল যে, আখেরী যামানায় এ কিতাব নাযিল করা হবে। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, সে সব সহীফা কুরআন মাজীদের সত্যতা সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছিল। (দুই) কুরআন মাজীদ পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহে বর্ণিত বিষয়বস্তুর সমর্থন করে আর এভাবে এ কিতাব সেগুলোর আসমানী কিতাব হওয়ার সপক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছে, অথচ যার মুবারক মুখে এ বাণী উচ্চারিত হচ্ছে, সেই আখেরী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন উম্মী। তাঁর কাছে অতীতের কিতাবসমূহ সম্পর্কে জ্ঞান লাভের কোন মাধ্যম নেই। তা সত্ত্বেও যখন তাঁর পবিত্র মুখে সেসব কিতাবের বিসয়বস্তু বিবৃত হচ্ছে, তখন এটা আপনিই প্রমাণ হয়ে যায় যে, এসব বিষয়বস্তু আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতেই এসেছে এবং কুরআন মাজীদ তাঁরই কিতাব। এরপরও তোমরা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতের পক্ষে আর কী নিদর্শন দাবী করছ?