وَلَمَّا جَآءَہُمۡ کِتٰبٌ مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ مُصَدِّقٌ لِّمَا مَعَہُمۡ ۙ وَکَانُوۡا مِنۡ قَبۡلُ یَسۡتَفۡتِحُوۡنَ عَلَی الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ۚۖ فَلَمَّا جَآءَہُمۡ مَّا عَرَفُوۡا کَفَرُوۡا بِہٖ ۫ فَلَعۡنَۃُ اللّٰہِ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ
মুফতী তাকী উসমানী
যখন তাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ হতে এমন কিতাব (অর্থাৎ কুরআন) আসল, যা তাদের কাছে (পূর্ব থেকে) যা আছে, তার (অর্থাৎ তাওরাতের) সমর্থন করে (তখন তাদের আচরণ লক্ষ্য করে দেখ), যদিও পূর্বে এরা কাফিরদের (অর্থাৎ পৌত্তলিকদের) বিরুদ্ধে (এ কিতাবের মাধ্যমে) আল্লাহর কাছে বিজয় প্রার্থনা করত, ৬৭ কিন্তু যখন সেই জিনিস আসল, যাকে তারা চিনতে পেরেছিল, তখন তাকে অস্বীকার করে বসল। সুতরাং এমন কাফিরদের প্রতি আল্লাহর লানত।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৬৭. পৌত্তলিকদের সাথে ইয়াহুদীদের যখন কোনও যুদ্ধ হত বা বিতর্ক দেখা দিত, তখন তারা দু‘আ করত, হে আল্লাহ! আপনি তাওরাতে যে শেষ নবীর আগমনের সুসংবাদ দিয়েছেন, তাকে শীঘ্র পাঠিয়ে দিন, যাতে আমরা তার সাথে মিলে পৌত্তলিকদের উপর জয়ী হতে পারি। কিন্তু যখন সেই নবী (মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর শুভাগমন হল, তখন তারা এই ঈর্ষার কবলে পড়ল যে, তাকে বনী ইসরাঈলের মধ্যে না পাঠিয়ে বনী ইসমাঈলে কেন পাঠানো হল? তারা জানত শেষ নবীর যে সকল আলামত তাওরাতে বর্ণিত হয়েছে, সবই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এতদসত্ত্বেও তারা তাঁকে মানতে অস্বীকার করল।