আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ৭৬

তাফসীর
وَاِذَا لَقُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا ۚۖ وَاِذَا خَلَا بَعۡضُہُمۡ اِلٰی بَعۡضٍ قَالُوۡۤا اَتُحَدِّثُوۡنَہُمۡ بِمَا فَتَحَ اللّٰہُ عَلَیۡکُمۡ لِیُحَآجُّوۡکُمۡ بِہٖ عِنۡدَ رَبِّکُمۡ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া ইযা-লাকুল্লাযীনা আ-মানূ কা-লুআ-মান্না- ওয়াইযা-খালা-বা‘দুহুম ইলা-বা‘দিন কা-লূ আতুহাদ্দিছূনাহুম বিমা- ফাতাহাল্লা-হু ‘আলাইকুম লিইউহাজ্জূকুম বিহী ‘ইনদারাব্বিকুম আফালা-তা‘কিলূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

যখন এরা তাদের (সেই মুসলিমদের) সাথে মিলিত হয়, যারা আগেই ঈমান এনেছে, তখন (মুখে) বলে দেয়, আমরা (-ও) ঈমান এনেছি। আবার এরা যখন নিভৃতে একে অন্যের সাথে মিলিত হয়, তখন (পরস্পরে একে অন্যকে) বলে, তোমরা কি তাদেরকে (মুসলিমদেরকে) সেই সব কথা বলে দিচ্ছ, যা আল্লাহ তোমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন? তবে তো তারা (মুসলিমগণ) তোমাদের প্রতিপালকের কাছে গিয়ে সেগুলোকে তোমাদের বিরুদ্ধে প্রমাণরূপে পেশ করবে! ৬০ তোমাদের কি এতটুকু বুদ্ধিও নেই?

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৬০. তাওরাতে শেষ নবী সম্পর্কে যে সব ভবিষ্যদ্বাণীর উল্লেখ ছিল তার প্রত্যেকটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হুবহু মিলে যেত। মুসলিমদের সামনে নিজেকে মুসলিমরূপে পরিচয় দিত- এমন কোনও কোনও মুনাফিক ইয়াহুদী সে সব ভবিষ্যদ্বাণী মুসলিমদেরকে শোনাত। এ কারণে অন্যান্য ইয়াহুদীরা তাদেরকে নিভৃতে তিরস্কার করত। বলত, মুসলিমগণ এসব ভবিষ্যদ্বাণী জেনে ফেললে কিয়ামতের দিন এগুলোকে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। আর তখন আমাদের কাছে কোনও জবাব থাকবে না। বলাবাহুল্য, এটা ছিল তাদের চরম নির্বুদ্ধিতা। কেননা মুসলিমদের থেকে এসব ভবিষ্যদ্বাণী গোপন করতে পারলেও আল্লাহ তাআলার থেকে তো তা গোপন করা সম্ভব ছিল না।
﴾﴿
সূরা আল বাকারা, আয়াত ৮৩