২. আল বাকারা ( আয়াত নং - ৬০ )

bookmark
وَاِذِ اسۡتَسۡقٰی مُوۡسٰی لِقَوۡمِہٖ فَقُلۡنَا اضۡرِبۡ بِّعَصَاکَ الۡحَجَرَ ؕ فَانۡفَجَرَتۡ مِنۡہُ اثۡنَتَا عَشۡرَۃَ عَیۡنًا ؕ قَدۡ عَلِمَ کُلُّ اُنَاسٍ مَّشۡرَبَہُمۡ ؕ کُلُوۡا وَاشۡرَبُوۡا مِنۡ رِّزۡقِ اللّٰہِ وَلَا تَعۡثَوۡا فِی الۡاَرۡضِ مُفۡسِدِیۡنَ
ওয়া ইযিছতাছকা-মূছা- লিকাওমিহী ফাকুলনাদরিব্বি‘আসা-কাল হাজারা ফানফাজারাত মিনহুছনাতা- ‘আশরাতা ‘আইনান কাদ ‘আলিমা কুল্লুউনা-ছিম মাশরাবাহুম কুলূওয়াশরাবূমির রিঝকিল্লা-হি ওয়ালা-তা‘ছাও ফিল আরদিমুফছিদীন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

এবং (সেই সময়ের কথাও স্মরণ কর) যখন মূসা নিজ সম্প্রদায়ের জন্য পানি প্রার্থনা করল। তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দ্বারা পাথরে আঘাত কর। সুতরাং তা থেকে বারটি প্রস্রবণ উৎসারিত হল। ৫১ প্রত্যেক গোত্র নিজ পানি গ্রহণের স্থান জেনে নিল। (আমি বললাম) আল্লাহ প্রদত্ত রিযক খাও ও পান করো এবং পৃথিবীতে অশান্তি বিস্তার করো না।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

৫১. এ ঘটনাও সেই সময়ের, যখন বনী ইসরাঈল ‘তীহ’ (সিনাই) মরুভূমিতে আটকে পড়েছিল। সেখানে পানির কোনও ব্যবস্থা ছিল না। আল্লাহ তাআলা একটি অলৌকিক ঘটনা হিসেবে পাথর থেকে বারটি ঝর্নাধারা প্রবাহিত করে দেন। হযরত ইয়াকুব (ইসরাঈল) আলাইহিস সালামের বার পুত্র ছিল। প্রত্যেক পুত্রের সন্তানগণ একটি স্বতন্ত্র গোত্রের রূপ নেয়। এভাবে বনী ইসরাঈল বার গোত্রে বিভক্ত হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক গোত্রের জন্য আলাদা প্রস্রবণ চালু করেছিলেন, যাতে কোনও কলহ সৃষ্টি হতে না পারে।
সূরা আল বাকারা, আয়াত ৬৭