২. আল বাকারা ( আয়াত নং - ২৪৫ )

bookmark
مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یُقۡرِضُ اللّٰہَ قَرۡضًا حَسَنًا فَیُضٰعِفَہٗ لَہٗۤ اَضۡعَافًا کَثِیۡرَۃً ؕ وَاللّٰہُ یَقۡبِضُ وَیَبۡصُۜطُ ۪ وَاِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ
মান যাল্লাযী ইউকরিদুল্লা-হা কারদান হাছানান ফাইউদা-‘ইফাহূলাহুআদ‘আ ফান কাছীরাতাওঁ ওয়াল্লা-হু ইয়াকবিদুওয়া ইয়াবছুতুওয়াইলাইহি তুরজা‘ঊন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

কে আছে, যে আল্লাহকে উত্তম পন্থায় ঋণ দেবে, ফলে তিনি তার কল্যাণে তা বহুগুণ বৃদ্ধি করবেন? ১৮৩ আল্লাহই সংকট সৃষ্টি করেন এবং তিনিই স্বচ্ছলতা দান করেন, আর তাঁরই কাছে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

১৮৩. আল্লাহ তাআলাকে ঋণ দেওয়ার অর্থ তাঁর পথে খরচ করা। গরীবদেরকে সাহায্য করা যেমন এর অন্তর্ভুক্ত, তেমনি জিহাদের ক্ষেত্রসমূহে ব্যয় করাও। একে ঋণ বলা হয়েছে রূপকার্থে। কেননা এর বিনিময় দেওয়া হবে সওয়াবরূপে। ‘উত্তম পন্থা’-এর অর্থ ইখলাসের সাথে আল্লাহ তাআলাকে খুশী করার মানসে দান করা। মানুষকে দেখানো কিংবা পার্থিব প্রতিদান লাভ উদ্দেশ্য হবে না। যদি জিহাদের জন্য বা গরীবদের সাহায্য করার জন্য ঋণও দেওয়া হয়, তবে তাতে কোনরূপ সুদের দাবী না থাকা। কাফিরগণ তাদের সামরিক প্রয়োজনে সুদে ঋণ নিত। মুসলিমদেরকে সতর্ক করা হয়েছে যে, প্রথমত তারা যেন ঋণ না দিয়ে বরং চাঁদা দেয়। অগত্যা যদি ঋণ দেয়, তবে মূল অর্থের বেশি দাবী না করে। কেননা যদিও দুনিয়ায় তারা সুদ পাবে না, কিন্তু আল্লাহ তাআলা আখিরাতে তার যে সওয়াব দেবেন তা আসলের চেয়ে বহুগুণ বেশি হবে। এরূপ ব্যয় করলে অর্থ-সম্পদ কমে যাওয়ার যে খতরা থাকে, সে সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, সংকট ও সচ্ছলতা আল্লাহরই হাতে। আল্লাহর দীনের জন্য যে ব্যক্তি নিজের সম্পদ ব্যয় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে সংকটের সম্মুখীন করবেন না যদি সে তা আল্লাহর হুকুম মোতাবেক ব্যয় করে থাকে।