২. আল বাকারা ( আয়াত নং - ২৩৬ )

bookmark
لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ اِنۡ طَلَّقۡتُمُ النِّسَآءَ مَا لَمۡ تَمَسُّوۡہُنَّ اَوۡ تَفۡرِضُوۡا لَہُنَّ فَرِیۡضَۃً ۚۖ وَّمَتِّعُوۡہُنَّ ۚ عَلَی الۡمُوۡسِعِ قَدَرُہٗ وَعَلَی الۡمُقۡتِرِ قَدَرُہٗ ۚ مَتَاعًۢا بِالۡمَعۡرُوۡفِ ۚ حَقًّا عَلَی الۡمُحۡسِنِیۡنَ
লা-জুনা-হা ‘আলাইকুম ইন তাল্লাকতুমুন্নিছাআ মা-লাম তামাছছূহুন্না আও তাফরিদূ লাহুন্না ফারীদাতাওঁ ওয়ামাত্তি‘ঊহুন্না ‘আলাল মূছি‘ই কাদারুহূ ওয়া ‘আলাল মুকতিরি কাদারুহু মাতা-‘আম বিলমা‘রূফি হাক্কান ‘আলাল মুহছিনীন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

এতেও তোমাদের কোন গুনাহ নেই যে, তোমরা স্ত্রীদেরকে এমন সময়ে তালাক দেবে যে, তখনও পর্যন্ত তোমরা তাদেরকে স্পর্শ করনি এবং তাদের মোহরও ধার্য করনি। (এরূপ অবস্থায়) তোমরা তাদেরকে (কিছু) উপহার দিয়ো ১৭৭ সচ্ছল ব্যক্তি নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এবং অসচ্ছল ব্যক্তি নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী। উত্তম পন্থায় এ উপঢৌকন দিয়ো। এটা সৎকর্মশীলদের প্রতি এক অত্যাবশ্যকীয় করণীয়।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

১৭৭. বিবাহের সময় স্বামী-স্ত্রী যদি মোহর ধার্য না করে, তারপর উভয়ের মধ্যে নিভৃত সাক্ষাতের সুযোগ আসার আগেই তালাক হয়ে যায়, তবে এ অবস্থায় মোহর আদায় করা স্বামীর উপর ওয়াজিব নয় বটে, কিন্তু অন্ততপক্ষে এক জোড়া কাপড় দেওয়া ওয়াজিব। অতিরিক্ত কিছু উপঢৌকন দিলে আরও ভালো। (পরিভাষায় এ উপঢৌকনকে ‘মুতআ’ বলে)। বিবাহের সময় যদি মোহর ধার্য করা হয়ে থাকে, অতঃপর নিভৃত সাক্ষাতের আগেই তালাক হয়ে যায়, তবে অর্ধেক মোহর দেওয়া ওয়াজিব হয়।