আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ২২৬

তাফসীর
لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ

উচ্চারণ

লিল্লাযীনা ইউ’লূনা মিন্নিছাইহিম তারাব্বুসু আরবা‘আতি আশহুরিন ফাইন ফাউ ফাইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে ঈলা করে (অর্থাৎ তাদের কাছে না যাওয়ার কসম করে) তাদের জন্য রয়েছে চার মাসের অবকাশ। ১৬৬ সুতরাং যদি তারা (এর মধ্যে কসম ভেঙ্গে) ফিরে আসে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৬৬. আরবদের মধ্যে এই অন্যায় প্রথা চালু ছিল যে, কসম করে বলত সে তার স্ত্রীর কাছে যাবে না। ফলে স্ত্রী অনির্দিষ্ট কালের জন্য ঝুলন্ত অবস্থায় পড়ে থাকত; সে স্ত্রী হিসেবে তার ন্যায্য অধিকারও পেত না, আবার অন্যত্র বিবাহও করতে পারত না। এরূপ কসমকে ঈলা বলে। এ আয়াতে আইন করে দেওয়া হয়েছে যে, যে ব্যক্তি ঈলা করবে, সে চার মাসের ভেতর কসম ভেঙ্গে কাফফারা আদায় করবে এবং স্ত্রীর সঙ্গে যথারীতি দাম্পত্য সম্পর্ক বহাল করবে। যদি তা না করে তবে তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটবে। পরের আয়াতে যে বলা হয়েছে, ‘যদি তারা তালাকেরই সংকল্প করে নেয়’ তার অর্থ এটাই যে, যদি চার মাসের মধ্যে কসম ভঙ্গ না করে এবং এভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ করে ফেলে, তবে বিবাহ আপনা আপনিই খতম হয়ে যাবে।
﴾﴿