نِسَآؤُکُمۡ حَرۡثٌ لَّکُمۡ ۪ فَاۡتُوۡا حَرۡثَکُمۡ اَنّٰی شِئۡتُمۡ ۫ وَقَدِّمُوۡا لِاَنۡفُسِکُمۡ ؕ وَاتَّقُوا اللّٰہَ وَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّکُمۡ مُّلٰقُوۡہُ ؕ وَبَشِّرِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৬৩. এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা এক তাৎপর্যপূর্ণ রূপকের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর আনন্দঘন মুহূর্ত সম্পর্কে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। প্রথমত স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, স্বামী-স্ত্রীর এই মিলন কেবল সুখ ভোগের উদ্দেশ্যে হওয়া উচিত নয়; বরং একে মানব প্রজন্মের উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যম মনে করা উচিত। একজন কৃষক যেমন নিজ শস্যক্ষেত্রে বীজ বপণ করে এবং তাতে তার উদ্দেশ্য থাকে ফসল ফলানো, তেমনিভাবে এ কাজও মূলত মানব-প্রজন্মকে স্থায়ী করার একটি মাধ্যম। দ্বিতীয়ত জানানো হয়েছে যে, এটাই যখন মিলনের আসল উদ্দেশ্য তখন তা নারী দেহের সেই অংশেই হওয়া উচিত, যা এর জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। পেছনের যে অংশকে এ কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়নি, স্বভাব-প্রকৃতির বিপরীত তাকে বিকৃত যৌনাচারের জন্য ব্যবহার করা সম্পূর্ণ হারাম। তৃতীয় বিষয় এই জানানো হয়েছে যে, নারীদেহের সামনের যে অংশকে এ কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তা ব্যবহার করার জন্য পন্থা যে-কোনওটাই অবলম্বন করা যেতে পারে। ইয়াহুদীদের ধারণা ছিল, সে অঙ্গকে ব্যবহার করার জন্য কেবল একটা পদ্ধতিই জায়েয অর্থাৎ সম্মুখ দিক থেকে ব্যবহার করা। মিলন যদি সামনের অঙ্গেই হয়, কিন্তু তা করা হয় পেছন দিক থেকে, তবে তাদের মতে তা জায়েয ছিল না। তাদের ধারণা ছিল, তাতে ট্যারা চোখের সন্তান জন্ম নেয়। এ আয়াত তাদের সে ভুল ধারণা খণ্ডন করেছে।