আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ১৯৩

তাফসীর
وَقٰتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّیَکُوۡنَ الدِّیۡنُ لِلّٰہِ ؕ فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَلَا عُدۡوَانَ اِلَّا عَلَی الظّٰلِمِیۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া কা-তিলূহুম হাত্তা-লা-তাকূনা ফিতনাতুওঁ ওয়া ইয়াকূনাদ্দীনু লিল্লা-হি ফাইনিন তাহাও ফালা-‘উদওয়া-না ইল্লা-‘আলাজ্জা-লিমীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাক, যতক্ষণ না ফিতনা খতম হয়ে যায় এবং দীন আল্লাহর হয়ে যায়। ১৩৭ অতঃপর তারা যদি ক্ষান্ত হয়, তবে জালিমরা ছাড়া অন্য কারও প্রতি কোনও কঠোরতা নয়।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৩৭. এস্থলে এ বিষয়টি বুঝে রাখা উচিত যে, শরীয়তে জিহাদের উদ্দেশ্য কাউকে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা নয়। এ কারণেই সাধারণ অবস্থায় কেউ যদি কুফরেই অবিচল থাকতে চায়, তবে সে জিয্য়ার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রের আইন-কানুনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তা থাকতে পারে। জাযিরাতুল আরবের বিষয়টা আলাদা। কেননা এটা এমন দেশ, যেখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সরাসরি পাঠানো হয়েছে এবং যেখানকার লোকে তার মুজিযাসমূহ চাক্ষুষ দেখেছে ও তাঁর শিক্ষা সরাসরি শুনেছে। এরূপ লোক ঈমান না আনলে পূর্বেকার নবীগণের আমলে তো ব্যাপক আযাবের মাধ্যমে তাদেরকে ধ্বংস করে দেওয়া হত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমলে যেহেতু সে রকম আযাব স্থগিত রাখা হয়েছে, তাই আদেশ করা হয়েছে, জাযিরাতুল আরবে কোনও কাফির নাগরিক হিসেবে বাস করতে পারবে না। এখানে তার জন্য তিনটি উপায়ই আছে হয় ইসলাম গ্রহণ করবে, নয়ত জাযিরাতুল আরব ত্যাগ করে চলে যাবে অথবা যুদ্ধে কতল হয়ে যাবে।
﴾﴿