আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ১৮৪

তাফসীর
اَیَّامًا مَّعۡدُوۡدٰتٍ ؕ فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ وَعَلَی الَّذِیۡنَ یُطِیۡقُوۡنَہٗ فِدۡیَۃٌ طَعَامُ مِسۡکِیۡنٍ ؕ فَمَنۡ تَطَوَّعَ خَیۡرًا فَہُوَ خَیۡرٌ لَّہٗ ؕ وَاَنۡ تَصُوۡمُوۡا خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ

উচ্চারণ

আইয়া-মাম্মা‘দূদা-তিন ফামান কা-না মিনকুম মারীদান আও ‘আলা-ছাফারিন ফা‘ইদ্দাতুম মিন আইয়া-মিন উখারা ওয়া ‘আলাল্লাযীনা ইউতীকূনাহূ ফিদইয়াতুন তা‘আ-মু মিছকীনিন ফামান তাতাওওয়া‘আ খাইরান ফাহুওয়া খাইরুল্লাহূ ওয়া আন তাসূমূ খাইরুল্লাকুম ইন কুনতুম তা‘লামূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

গণা-গুনতি কয়েক দিন (রোযা রাখতে হবে)। তারপরও যদি তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য সময়ে সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে। যারা এর শক্তি রাখে, তারা একজন মিসকীনকে খাবার খাইয়ে (রোযার) ফিদয়া আদায় করতে পারবে। ১২৯ এছাড়া কেউ যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোন পুণ্যের কাজ করে, তবে তার পক্ষে তা শ্রেয়। আর তোমাদের যদি সমঝ থাকে, তবে রোযা রাখাই তোমাদের জন্য বেশি ভালো।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১২৯. প্রথম দিকে যখন রোযা ফরয করা হয়, তখন এই সুবিধাও দেওয়া হয়েছিল যে, কোনও ব্যক্তি রোযা না রেখে তার পরিবর্তে ফিদয়া দিতে পারবে। পরবর্তীতে ১৮৫ নং আয়াত নাযিল হয়, যা সামনে আসছে। সে আয়াত এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয় এবং চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয় যে, যে ব্যক্তিই রমযান মাস পাবে তাকে অবশ্যই রোযা রাখতে হবে। অবশ্য যারা অতি বৃদ্ধ, রোযা রাখার শক্তি নেই এবং ভবিষ্যতে রোযা রাখার মত শক্তি ফিরে আসারও কোনও আশা নেই, তাদের জন্য এ সুবিধা এখনও বাকি রাখা হয়েছে।
﴾﴿