اِنَّمَا حَرَّمَ عَلَیۡکُمُ الۡمَیۡتَۃَ وَالدَّمَ وَلَحۡمَ الۡخِنۡزِیۡرِ وَمَاۤ اُہِلَّ بِہٖ لِغَیۡرِ اللّٰہِ ۚ فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّلَا عَادٍ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
মুফতী তাকী উসমানী
তিনি তো তোমাদের জন্য কেবল মৃত জন্তু, রক্ত ও শুকরের গোশত হারাম করেছেন এবং সেই জন্তুও, যার প্রতি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম উচ্চারণ করা হয়। ১২০ হ্যাঁ, কোনও ব্যক্তি যদি চরম অনন্যোপায় অবস্থায় থাকে (ফলে এসব বস্তু হতে কিছু খেয়ে নেয়) আর তার উদ্দেশ্য মজা ভোগ করা না হয় এবং সে (প্রয়োজনের) সীমা অতিক্রমও না করে, তবে তার কোনও গুনাহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১২০. এ আয়াতে সমস্ত হারাম জিনিসের তালিকা দেওয়া উদ্দেশ্য নয়; বরং উদ্দেশ্য কেবল একথা জানানো যে, তোমরা যে সব জন্তুকে হারাম মনে করে বসে আছ, আল্লাহ তাআলা সেগুলোকে হারাম করেননি। তোমরা অযথা আল্লাহ তাআলার উপর তার নিষিদ্ধতাকে চাপিয়ে দিয়েছ। অপর দিকে এমন কিছু বস্তুও রয়েছে, যেগুলোকে তোমরা হারাম মনে কর না, অথচ আল্লাহ তাআলা সেগুলোকে হারাম করেছেন। হারাম সেগুলো নয়, যেগুলোকে তোমরা হারাম মনে করছ; বরং হারাম সেইগুলো যেগুলোকে তোমরা হালাল মনে করে বসে আছ।