নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে ব্যক্তিই বাইতুল্লাহর হজ্জ করবে বা উমরা করবে তার জন্য এ দুটোর প্রদক্ষিণ করাতে কোনও গুনাহ নেই। ১১২ কোনও ব্যক্তি স্বত:স্ফূর্তভাবে কোনও কল্যাণকর কাজ করলে আল্লাহ অবশ্যই গুণগ্রাহী (এবং) সর্বজ্ঞ।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১১২. সাফা ও মারওয়া মক্কা মুকাররমার দু’টি পাহাড়। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম স্ত্রী হাজেরা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে কোলের শিশুপুত্র ইসমাঈল আলাইহিস সালামসহ মক্কায় ছেড়ে গেলে হাজেরা (রাযি.) পানির সন্ধানে এ দুই পাহাড়ে ছোটাছুটি করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা হজ্জ ও উমরাহ আদায়ে এ দুই পাহাড়ে সা‘ঈ (ছোটাছুটি) করাকে ওয়াজিব করেছেন। সা‘ঈ করা ওয়াজিব হওয়া সত্ত্বেও এখানে যে ‘কোন গুনাহ নেই’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তার কারণ, জাহিলী যুগে এ পাহাড় দু’টিতে দু’টি মূর্তি স্থাপিত ছিল। মুশরিকরা সেদুটিকে সম্মান করত এবং মনে করত, সা‘ঈর উদ্দেশ্য তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। মক্কা বিজয়ের পর যদিও মূর্তি দু‘টিকে অপসারণ করা হয়েছিল, তথাপি সাহাবীদের মধ্যে কারও কারও সন্দেহ হয়েছিল, এ দুই পাহাড়ে দৌড়ানো যেহেতু সে যুগেরই আলামত তাই এটা করলে গুনাহ হতে পারে। আয়াতে তাদের সেই সন্দেহ দূর করা হয়েছে।