যখন তাঁর প্রতিপালক তাঁকে বললেন, ‘আনুগত্যে নতশির হও’, ৯২ তখন সে (সঙ্গে সঙ্গে) বলল, আমি রাব্বূল আলামীনের (প্রতিটি হুকুমের) সামনে মাথা নত করলাম।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৯২. কুরআন মাজীদ এস্থলে ‘আনুগত্যে নতশির হওয়া’-এর জন্য ‘ইসলাম’ শব্দ ব্যবহার করেছে। ‘ইসলাম’-এর শাব্দিক অর্থ মাথা নত করা এবং কারও পরিপূর্ণ আনুগত্য করা। আমাদের দীনের নামও ইসলাম। এ নাম এজন্যই রাখা হয়েছে যে, এর দাবী হল-
মানুষ তার প্রতিটি কথা ও কাজে আল্লাহ তাআলারই অনুগত হয়ে থাকবে। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম যেহেতু শুরু থেকেই মুমিন ছিলেন, তাই এস্থলে আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্য তাঁকে ঈমান আনার আদেশ দেওয়া ছিল না। আর এ কারণেই ‘ইসলাম গ্রহণ কর’ তরজমা করা হয়নি। অবশ্য পরবর্তী আয়াতে সন্তানদের উদ্দেশ্যে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের যে অসিয়ত উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে ‘ইসলাম’-এর ভেতর উভয় মর্মই দাখিল; সত্য দীনের প্রতি ঈমান আনাও এবং তারপর আল্লাহ তাআলার হুকুমের প্রতি আনুগত্যও। তাই সেখানে ‘মুসলিম’ শব্দই ব্যবহার করা হয়েছে।